হলুদ দিয়ে কী কী করা যায়?
ডাল হোক বা কষা মাংস, রকমারি রান্না এক চিমটে হলুদ ছাড়া অসম্পূর্ণ। খাবারে রং ও গন্ধ আনতে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে বহু দিন। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে এক উপাদান, যা বহু রোগ সারাতে পারে। এশিয়ায় হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসাবে নয়, ঔষধি হিসাবেও। শুধু কি রান্নায়! আর কী কী ভাবে ব্যবহার হয় মশলাটি?
ত্বকের যত্ন
বিয়ের দিন সকালে বর বা কনের গায়ে কাঁচা হলুদ বাটার প্রলেপ মাখানোর রেওয়াজ বহু পুরনো। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতেও হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। নানা ভাবে এটি ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায়।
১. ১ চামচ বেসন, ২ চামচ দুধ ও ১ চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২. শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে ওটমিলের সঙ্গে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে মাখা যেতে পারে। এতে মৃত কোষ দূর হয়।
স্বাস্থ্যকর ‘চা’, পানীয়
হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীর ভাল রাখতে তাই চুমুক দিতে পারেন হলুদ ‘চা’-এ।
গরম জলে ১ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে সারা দিন ধরেই খেতে পারেন। চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন মধু কিংবা পাতিলেবুর রস। গায়ে ব্যথা থাকলে, অনিদ্রার সমস্যা হলে দুধের মধ্যে একটু হলুদ গুঁড়ো দিয়ে খেলেও উপকার মেলে।
খাবারে রং
রান্নায় নানা রকম কৃত্রিম রং ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। তার বদলে হলুদ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই রং আনা যায়। পোলাও হোক বা অন্য কোনও পদ, রং আনতে হলুদ জলে গুলে ছড়িয়ে দিতে পারেন। রান্নায় হলুদ রং আরও ভাল ভাবে পেতে চাইলে গরম তেলে সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দেখতে পারেন।
আনাজ পরিষ্কার
বাজার থেকে সদ্য কিনে আনা সব্জিতে অনেক পোকামাকড় এবং রোগজীবাণু থাকে। হলুদ রোগজীবাণু প্রতিরোধে, পোকামাকড় দূর করতে সহায়ক। ২-৩ গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে এক চা-চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। তাতে সব্জি বেশ কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রেখে, পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy