খুব উজ্জ্বল দু’টি রঙের ব্যবহার না করে যে কোনও একটি অনুজ্জ্বল বা ফিকে রং ব্যবহার করুন।
পুজো মানে বাঙালির পোশাকে লাল-সাদা। দুর্গাপুজোয় সেই চেনা রং মিলান্তিতে ইতিমধ্যে সেজেওছেন অনেকে। কিন্তু বিজয়া দশমীর পোশাকেও কি একই রং থাকবে?
অতিমারি পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে সিঁদুর খেলার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। দশমীর সকালে, সিঁদুর খেলার সময়ে বা বরণের জন্য লাল-সাদাকে সঙ্গে রেখেই অন্যরকম সাজবেন কী ভাবে!
নজর থাকুক ত্বকে
পোশাকের রং যা-ই হোক, ত্বক যেন থাকে তকতকে। সিঁদুর খেলার আগে তাই ত্বকের যত্ন নিন। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি ত্বক আর্দ্র রাখার দিকেও মন দিতে হবে। রূপটান সামগ্রী ব্যবহার করা যেতে পারে।
চোখ ফুটুক
বাঙালি সাজের মূল আকর্ষণ হল চোখ। ‘কালো হরিণ’ না হোক স্মোকি আইজ বা ধূসর রঙে সাজাতে পারেন। প্রথমে হাল্কা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে চোখের স্বাভাবিক আকৃতিকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। বাদামি রঙের আইশ্যাডো এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। আইশ্যাডোর পর কাজল বা আইলাইনারের সাহায্যে আরও ফুটিয়ে তোলা যাবে চোখ। চাইলে এর উপর সামান্য শিমার দেওয়া যেতে পারে। তবে হাল্কা রঙের শিমার ব্যবহার করুন। সকালের অনুষ্ঠানের জন্য এ টুকু মেক-আপই যথেষ্ট। তবে সান্ধ্য অনুষ্ঠানের জন্য আরও একটু গাঢ় রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
টিপ আর ওষ্ঠরঞ্জনী
দশমীতে শাড়ি পরলে লাল টিপ পরুন। পুরনো ধাঁচের এবং ধ্রুপদী বাঙালি সাজের জন্য এর সঙ্গে ব্যবহার করুন লাল ওষ্ঠরঞ্জনী। না চাইলে আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরুন লিপস্টিক।
গালে রঙের ছোঁয়া
গালে সামান্য ব্লাশ অন, শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হাইলাইটার ব্যবহার করা যেতে পারে।
পোশাক
পোশাকে লাল-সাদা দু’টোই না রেখে কোনও একটি রং ব্যবহার করুন। লাল শাড়ির সঙ্গে অন্য কোনও রঙের ব্লাউজ। বা লাল ব্লাউজের সঙ্গে তসর, সোনালি, বাদামি রঙের শাড়ি পরা যেতে পারে। খুব উজ্জ্বল দু’টি রঙের ব্যবহার না করে যে কোনও একটি অনুজ্জ্বল বা ফিকে রং ব্যবহার করুন। গাঢ় মেক আপ করলে পোশাকে ফিকে রং বেছে নেওয়াই ভাল। তবে লাল ছাড়াও গোলাপি, ফিকে কমলা দশমীর পোশাকে নজর কাড়তে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy