প্রতীকী ছবি।
অনেক সময়েই আমরা নিজের শরীরের খেয়াল রাখার জন্য, বা শারীরিক সুস্থতার কথা মাথায় রেখে, রুটিন করে রোজ দৌড়নো পছন্দ করি। আমাদের ধারণা হচ্ছে যে দিনের কোন একটা সময় দৌড়লেই তা আমাদের শরীরকে ইতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করবে। কিন্তু সেটা সব ক্ষেত্রে সত্যি নয়। আপনার দৌড়নোর ধরন সঠিক না হলে, এই কসরত আপনার শরীরের যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে।
আপনার দৌড়নোর ধরন ঠিক করলে, তা শুধুমাত্র আপনার দৌড়নোর গতিকে বাড়ানো নয়, বরং আপনার শরীরের ধকলকে কমানো বা চোট-আঘাতের আশঙ্কা কমানোর জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সঠিক দৌড়নোর ভঙ্গি আপনার শরীরকে অনাকাঙ্খিত ক্লান্তির কবল এড়াতে সাহায্য করে।
জেনে নিন সঠিক দৌড়নোর ভঙ্গি পাওয়ার আটটি সহজ বিজ্ঞানসম্মত উপায়।
সামনের দিকে তাকান
আপনার পায়ের দিকে না তাকিয়ে আপনার থেকে বেশ খানিকটা সামনে, মাটির দিকে চোখ রাখুন।
মাথার অবস্থান ঠিক রাখুন
মাথা যেন কোনও ভাবেই সামনের দিকে ঝুঁকে না পড়ে। এমন হলে তা আপনার গলার এবং ঘাড়ের পেশীগুলিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, যা আপনার শরীরকে আরও দ্রুত ক্লান্ত আর চোট-প্রবণ করে তুলতে পারে।
হাতকে কোমরের সঙ্গে সমান উচ্চতায় রাখুন
চেষ্টা করুন সব সময়ে আপনার হাত দুটোকে কোমরের কাছাকাছি উচ্চতায় রাখার। অনেকজনের অভ্যেস বুকের কাছাকাছি উচ্চতায় হাত রাখার, কিন্তু তাতে শরীর আরও দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
হাতকে আলগা রাখুন
হাত দুটোকে যতটা সম্ভব আলগা রাখুন। বার বার হাত মুঠো করবেন না, তাতে আপনার পেশীতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।
নিজের ভঙ্গির দিকে নজর দিন
শরীরের ভঙ্গির দিকে নজর দিন, যাতে আপনার মাথা কখনো নেমে না যায়, বা আপনার পিঠে বেঁকে না যায়। মাঝে মাঝে এরকম প্রবণতা হয় আমাদের, যে দৌড়ের শেষের দিকে ক্লান্ত হয়ে পড়লে আমরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি, যা আমাদের শরীরের লাভের থেকে ক্ষতি বেশি করে।
লাফানোর থেকে বিরত থাকুন
দৌড়নোর সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কিঞ্চিত লাফানোর প্রবণতা থাকে, যা মূলত শরীরের শক্তি ক্ষয়ের ক্ষেত্রে কার্যকরী হয়ে ওঠে। যত বেশি আপনি নিজেকে মাটির থেকে উঁচুতে লাফাবেন, নামার সময়ে আপনার পায়ের সঙ্গে মাটির আঘাতের মাত্রা তত বেশি বাড়বে।
হাতের আবর্তন ঘাড় থেকে করুন
আপনার হাত দুটো কনুইয়ের জয়েন্ট থেকে নয়, ঘাড়ের জয়েন্ট থেকে দোলানোই বেশি ভাল। চেষ্টা করুন গোটা হাতকে দোলানোর, শুধুমাত্র কনুই থেকে নয়।
হাত দুটোকে আপনার পাশে রাখুন
অনেক সময়ে দৌড়তে গেলে আমাদের হাত আমাদের বুকের সামনে চলে আসে, যা আমাদের গতিকে শ্লথ করে দিতে পারে, কারণ আমাদের ফুসফুস যথাযথ পরিমাণে হাওয়া পাচ্ছে না। অপর্যাপ্ত পরিমাণে হাওয়া ফুসফুসে গেলে তা আপনার শরীর ক্ষতি করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy