তিসি, চিয়া, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ—বীজের তালিকাও কম নয়। অফিসে খিদে পেলেই মুখ চলতি খাবার হিসেবে খেতেই পারেন এই সব বীজ। জানেন কি, কোন বীজ ঠিক কতটা উপকারী? কী ভাবেই বা খেতে পারেন এই সব বীজ।
কুমড়োর বীজ
বিশেষ কিছু ধরনের ক্যানসারেরও আশঙ্কা কমায় এই বীজ। কুমড়োর বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, আয়রন, জিঙ্ক, কপার ইত্যাদি। নিয়মিত কুমড়োর বীজ খেলে প্রস্টেট গ্ল্যান্ড ভাল থাকে। আবার অনিদ্রার হাত থেকেও মুক্তি দেয় কুমড়ো বীজ। শুকনো খোলায় ভেজে স্যালাডে, শরবতের উপরে ছড়িয়ে খেতে পারেন এই বীজ।
সূর্যমুখীর বীজ
কিছু ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে এই বীজ। এ ছাড়াও হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে, রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে সমতা আনতে সাহায্য করে। ভাল মানের প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন বি ওয়ান এবং ই, ম্যাগনেশিয়াম, কপার থাকে সূর্যমুখীর বীজে। শুকনো খোলায় ভেজে এই জাতীয় বীজ স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যায়। আবার চাইলে স্যালাডের সঙ্গেও খেতে পারেন। অল্প পরিমাণে এই বীজ খেলে সহজেই পেট ভরা থাকে।
মৌরি
এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল। স্নায়ুরোগ সারাতে, সংক্রমণ কমাতে মৌরি। ভাল মানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় পেটও ঠান্ডা রাখে মৌরি। সারা রাত জলে মৌরি ভিজিয়ে রেখে পরদিন তা ছেঁকে খেতে পারেন। মৌরি ভেজানো জল শরীর সুস্থ রাখে। তবে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে রোজ মৌরি ভেজানো জল খাওয়া ঠিক নয়।