কাঁচকলার খোসা দিয়ে কোন কোন পদ তৈরি করা যায়? ছবি: সংগৃহীত।
শুক্তো খেতে বড়ই ভালবাসেন। তাই বেশির ভাগ দিনই ডালের বদলে বাড়িতে শুক্তো রান্না করা হয়। এই পদের মধ্যে আলু, বেগুন, সিম, মুলো, ডাঁটা, উচ্ছের সঙ্গে থাকে রাঙালু এবং কাঁচকলা। রান্নার জন্য আনাজপত্র কেটে-কুটে তার খোসা সাধারণত ফেলেই দেন। তবে, অনেকেরই হয়তো কাঁচকলার খোসার পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে কোনও ধারণা নেই। কলার মতোই তার খোসাতেও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা সামগ্রিক ভাবে শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু কলার খোসা উপকারী বলেই তো আর কাঁচা খেয়ে ফেলতে পারবেন না। তা হলে কী করবেন? কাঁচকলার খোসা দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন তিনটি মুখরোচক খাবার।
১) কলা খোসার আচার
প্রথমে কাঁচকলার খোসা সেদ্ধ করে নিন। এ বার মিক্সিতে সেদ্ধ খোসা, নারকেল কুচি, চিনেবাদাম, কাঁচালঙ্কা, তেঁতুলের ক্বাথ, সামান্য নুন এবং চিনি দিয়ে বেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম হলে তার মধ্যে গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা এবং কারি পাতা ফোড়ন দিয়ে ওই মিশ্রণ ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। তা হলেই টক-ঝাল-মিষ্টি-নোনতা চাটনি তৈরি হয়ে যাবে।
২) কলার খোসার পকোড়া
দক্ষিণীদের মধ্যে আলুর মতোই কলা ভাজা খাওয়ার চল রয়েছে। তবে কাঁচকলার খোসা দিয়ে পকোড়া বানাতে গেলে আরও কয়েকটি জিনিস প্রয়োজন। কাঁচকলার খোসা ছোট করে কেটে রাখুন। তার পর ছোট একটি পাত্রে জলের সঙ্গে বেসন, চালের গুঁড়ো, সামান্য হলুদ, নুন, জিরে, ধনে, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে একটি ব্যাটার তৈরি করুন। এ বার ছোট, পাতলা করে কেটে রাখা কলার খোসাগুলো ওই ব্যাটারে ডুবিয়ে ভেজে নিলেই গরম গরম পকোড়া তৈরি।
৩) কলার খোসার তরকারি
প্রথমে কলার খোসাগুলো কেটে, ছোট টুকরো করে নিন। তার পর গরম জলে ভাপিয়ে রাখুন। এ বার কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে জিরে, শুকনো লঙ্কার ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, রসুন, আদা কুচি ভেজে নিন। সোনালি হয়ে এলে টোম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, গুঁড়ো হলুদ, জিরে এবং ধনে দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে ভাপিয়ে রাখা কলার খোসাগুলো দিয়ে দিন। সামান্য নারকেলের দুধ, নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে নাড়া করে নিন। ঝোল ঘন হয়ে এলেই নামিয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy