— প্রতীকী চিত্র।
কলা খেলে মোটা হয়ে যাবেন। এমন ধারণা থেকেই কলা খেতে চান না অনেকে। বাড়িতে পড়ে থেকে হলুদ কলার গায়ে কালচে ছোপ ধরে যায়। অতিরিক্ত পেকে গেলে যে গন্ধ বেরোয়, তা-ও অনেকে সহ্য করতে পারেন না। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, পুজোর আগে যাঁরা দেহের মেদ ঝরানো নিয়ে কপালে ভাঁজ ফেলছেন, তাঁদের জন্য উপাদেয় একটি খাবার হতে পারে কলা। শরীরচর্চা করলে পর্যাপ্ত শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। সকালের জলখাবার থেকে শুরু করে রাতের মিষ্টিমুখ— সবই তৈরি করা যেতে পারে এই ফল দিয়ে। তবে মজা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। তাই যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের কলা না খাওয়াই ভাল।
কলা-ওটমিল পরিজ
উপকরণ:
ওট্স: আধ কাপ
জল: ১ কাপ
দুধ: আধ কাপ
কলা: ১টি (মজে যাওয়া)
বিভিন্ন রকম বাদাম: ২ টেবিল চামচ
বিভিন্ন রকম বীজ: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) প্রথমে একটি কড়াইতে ওট্স, জল এবং দুধ ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ওট্স সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
২) মজে যাওয়া কলা ভাল করে চটকে নিয়ে সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার ওটসে মেশাতে থাকুন।
৩) ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিয়ে উপর থেকে বাদাম এবং বীজ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
পাকা কলার স্মুদি
উপকরণ:
কলা: ১টি (মজে যাওয়া)
ইয়োগার্ট: ১ কাপ
দুধ: আধ কাপ
বিভিন্ন রকম ফলের কুচি: আধ কাপ
শুকনো ফল, বাদাম কুচি: ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) ব্লেন্ডারে কলা, ইয়োগার্ট, দুধ দিয়ে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
২) এ বার কাচের গ্লাসে ঢেলে নিয়ে উপর থেকে ফল এবং বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। ঠান্ডা করে খেতে পারলে আরও ভাল লাগবে।
পাকা কলার আইসক্রিম
উপকরণ:
কলা: ২টি (মজে যাওয়া)
পিনাট বাটার: ১ টেবিল চামচ
কোকো পাউডার: ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১) ব্লেন্ডারে কলা, পিনাট বাটার এবং কোকো পাউডার একসঙ্গে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২) এ বার পছন্দের আইসক্রিম মোল্ডের মধ্যে এই মিশ্রণ ঢেলে নিয়ে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন।
৩) ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জমে আইসক্রিমের আকার ধারণ করলে ফ্রিজ থেকে বার করে পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy