সানস্ক্রিন মেখেও রোদে পুড়ছে ত্বক। অনেকেরই রোদে গেলে দু’গাল লাল হয়ে ওঠে। পরে সেখানেই কালচে ছোপ পড়ে যায়। আর সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি দীর্ঘ সময় ত্বকে ঢুকলে তা থেকে ‘সানবার্ন’ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এতে ত্বক যেমন জ্বালা করে, তেমনই ব্রণ-র্যাশে ভরে যায়। এমনকি ত্বকের মেলানিন রঞ্জকেরও তারতম্য হতে পারে। তাই সানবার্ন যাতে না হয়, তার জন্য দামি প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। রোজের খাওয়ার দু’টি সব্জিই মুশকিল আসান করবে।
ত্বক চিকিৎসকেদের মতে, সকলের ত্বক সমান হয় না। তাই সূর্য রশ্মি ত্বকে লাগলে তার বিভিন্ন রকম প্রভাব হতে পারে। অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংক্রমণ ঘটায় অনেকের। অত্যধিক মেলানিন তৈরি হতে থাকে, তখন ত্বকের রং গাঢ় হয়ে যায়। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া হলে বা র্যাশ বেরোলে ঘরোয়া উপায়েই তার সমাধান হতে পারে। কী ভাবে তা জেনে নিন।
টম্যাটোর সঙ্গে অ্যালো ভেরা
একটি গোটা টম্যাটো বেটে নিন। ৩ চামচের মতো টম্যাটো পিউরির সঙ্গে ২ চামচ অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ভাল করে রোদে পোড়া জায়গায় মাখতে হবে। তার পর ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন:
সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকে ব্রণ-র্যাশের সমস্যা কমবে। জ্বালাভাব দূর হবে। কালচে দাগছোপও উঠে যাবে।
শসার সঙ্গে ওট্মিল
শসা ত্বকের প্রদাহ কমাতে পারে। কালচে দাগছোপ তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আর প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের মধ্যে ওট্মিলের তুলনা নেই। এই দু’য়ের মিশ্রণ ত্বক যেমন পরিষ্কার করে, তেমনই ত্বকের জ্বালাভাব কমায়।
একটি গোটা শসা কুরিয়ে নিয়ে মিক্সিতে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। শসার সঙ্গে ২ চা-চামচ ওট্মিল ও এক চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে, হাতে মেখে ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই উপকার পাবেন।