বয়স ষাট পেরিয়ে গেলে খাওয়াদাওয়ায় সংযম জরুরি। যদি খুব বেশি ভাজাভুজি বা তেলমশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, ধূমপান বা মদ্যপান বেশি করেন কেউ বা অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভোগেন, তা হলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। তখন কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু যদি রোজের যাপনে কিছু নিয়ম মেনে চলা যায়, তা হলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। বিশেষ করে বাড়ির বয়স্করা অনেক সময়েই ঠিকমতো প্রাতরাশ করেন না। সে ক্ষেত্রেও কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই প্রাতরাশে এমন খাবার দিতে হবে যা থেকে সঠিক পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা মিটতে পারে।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার, কেক, কুকি, পেস্ট্রি, পনির, ঘি, মাখন, চিজ়, জ্যাম বাদ দিতে পারলেই ভাল। ক্রিমযুক্ত দুধ এবং তা থেকে তৈরি ঘি-মাখন যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। গোটা শস্য, প্রচুর পরিমাণ শাকসব্জি, ফল রাখতে হবে ডায়েটে। তরমুজ, পেয়ারা, কিউই, আপেল, কমলা, কলা, পেঁপের মতে ফল খাওয়া যেতে পারে। প্রাতরাশে ফল দিয়ে স্যালাড বা দানাশস্য দিতে পারেন। অথবা ফল দিয়ে ওট্মিলও দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:
আপেল-দারচিনির ওট্মিল
কী কী লাগবে
আধ কাপ ওট্স, এক কাপ জল বা কাঠবাদামের দুধ, অর্ধেকটা আপেল কুচনো, আধ চা চামচ দারচিনির গুঁড়ো, এক চা চামচ তিসির বীজ, এক চামচ কাঠবাদাম।
কী ভাবে বানাবেন- ওট্স শুকনো খোলায় নেড়ে নিয়ে তার সঙ্গে জল বা কাঠবাদামের দুধ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে আরও ৩-৪ মিনিট ফোটান। নামিয়ে নিয়ে আপেল কুচি ও তিসির বীজ ছড়িয়ে দিন।
কিনোয়ার স্যালাড
কী কী লাগবে
এক কাপ কিনোয়া, এক কাপ জল, আধ চা চামচ দারচিনির গুঁড়ো, এক চা চামচ তিসির বীজ, আধ কাপের মতো কলা কুচিয়ে নেওয়া, আধ কাপের মতো বেরি জাতীয় ফল অথবা পেঁপে, এক চামচ কাঠবাদাম কুচনো, এক চামচ মধু।
কী ভাবে বানাবেন- কিনোয়া প্রথমে সেদ্ধ করে নিয়ে তাতে সব রকম ফল মিশিয়ে দিন। উপর থেকে দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে তার সঙ্গে মেশান মধু ও তিসির বীজ। রোজ এক বাটি করে এই স্যালাড খেতে পারলে রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর হবে।