সবজান্তা গুগ্ল ফেলতে পারে বিপদে। ছবি: সংগৃহীত।
এমন কোনও বিষয় নেই, যা গুগ্ল জানে না। ‘ফ্রম আলপিন টু এলিফ্যান্ট’— সব বিষয়েই তার বিপুল জ্ঞান। নিজে হাতে জল গড়িয়ে খেতে না পারা মানুষ দিব্যি মুর্গ মুসল্লম রাঁধতে পারেন এই গুগ্ল বাবার আশীর্বাদে। আবার বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা কাকিমার কাছেও খবর থাকে, হলিউডে নতুন জুটি কারা। তবে প্রযুক্তির যেমন ভাল দিক আছে, তেমন কিছু খারাপ দিকও তো রয়েছে। জ্ঞানের জানলা খোলা রাখলে সেখানে তো যে কেউ ঢুকে পড়তেই পারে। জালিয়াতেরা এই সুযোগটিকেই হাতিয়ার করে। খবর খুঁজতে গিয়ে সাধারণ মানুষ সেই ফাঁদে পা দেন। ফলে আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে হয় তাঁদের। তথ্যপ্রযুক্তির বিশারদেরা সতর্ক করছেন কিছু প্রশ্ন গুগ্লকে না করতে।
১) অনলাইনে টাকা আয় করবেন কী করে?
অনলাইনে অনেকেই শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গুগল সার্চ করেন। একাধিক সংস্থা রয়েছে, যারা লগ্নি এবং ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করে থাকে। তবে তার মধ্যে বেশ কিছু সংস্থা ভুয়ো। অনলাইন ট্রেডিং-এর নাম করে তারা আসলে ফাঁদ পাতে।
২) কাস্টমার কেয়ার নম্বর
বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় কোনও যন্ত্র খারাপ হলে পাড়ার মিস্ত্রি নয়, সোজা ফোন করেন নির্দিষ্ট সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বরে। গুগলে এই ধরনের নম্বরের খোঁজ করা তুলনামূলক ভাবে সহজ। কিন্তু প্রতারকেরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে, আসল কাস্টমার কেয়ার নম্বরের সঙ্গে বেশ কিছু ভুয়ো নম্বরও ছড়িয়ে দেয়। বুঝতে না পেরে ক্রেতারা তাদের পাতা ফাঁদে পা দেন। সেখান থেকেই আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
৩) বন্ধু খোঁজার অ্যাপ
হাত বাড়ালেই তো বন্ধু পাওয়া যায় না। তাই বন্ধু খুঁজতেও অনলাইন বিভিন্ন সাইট বা অ্যাপের সাহায্য নেয় তরুণ প্রজন্ম। জীবনসঙ্গীর খোঁজ পেতেও সেই অনলাইনই ভরসা। এমন একাধিক সংস্থা রয়েছে, যারা এই ধরনের অ্যাপের ছদ্মবেশে আসলে প্রতারণার জাল পেতে রাখে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy