মা-বাবা হওয়ার ট্যাক্স। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানলাভের আশায় যে সব দম্পতি বছর দুয়েক ধরে চেষ্টা করেও সফল হতে পারেননি, তাঁদের আর্থিক সাহায্য করবে ইংল্যান্ডের ‘ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস’। কিন্তু সমকামী দম্পতিরা যদি একই ভাবে সন্তানসুখ পেতে চান, সেই চিকিৎসার জন্যে আলাদা করে কর দিতে হবে বলে জানিয়েছে সে দেশের প্রশাসন।
স্বাভাবিক ভাবে সন্তানধারণ করতে না পারলে ইদানীং ‘আইভিএফ’ বা ইনভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশন পদ্ধতির সাহায্য নেন। এই পদ্ধতি যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনই খরচসাপেক্ষ। তার পরেও সাফল্যের হার যথেষ্ট কমই। ধনেপ্রাণে শেষ হতে থাকা দম্পতিদের পাশে দাঁড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেই দেশের সরকার। একা মা এবং সমকামী দম্পতিরাও এই আইনের আওতায় পড়বেন বলেই গত বছর সরকারী তরফে জানানো হয়েছিল।
বছর ৩০-এর শাওনা ম্যানস্ব্রিজ এবং তাঁর সঙ্গী ৩৩ বছরের ফায়ে প্রথম থেকেই সন্তান চাইতেন। মা হওয়ার জন্যে শাওনা মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে হঠাৎ জানতে পারেন, ইনট্রাইউটেরাইন ইনসেমিনেশন পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে গেলে ৩০ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি খরচ হবে। ফায়ে জানান, “সমকামী হওয়া সত্ত্বেও কোনও দিন ব্রাত্য বোধ করিনি। কিন্তু জীবনে এই প্রথম বার এই বিভাজন আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।” যদিও ‘আইভিএফ’ নয়, সমকামী ওই দম্পতি সন্তানধারণের জন্যে বেছে নিয়েছিলেন ‘আইইউআই’ পদ্ধতি। কিন্তু চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে যে বিপুল পরিমাণ খরচের তালিকা দেওয়া হয়েছে, তা দেখেই ভয় পাচ্ছেন এমন দম্পতিরা। শাওনা বলেন, “মা ডাক শুনতে গেলে আমাদের মতো দম্পতিদের সারা জীবনের সঞ্চয় উজাড় করে দিতে হবে। এর আগে বার দুয়েক আইভিএফ সফল হয়নি। তাই এ বার আইইউআই পদ্ধতির সাহায্য নেবেন বলে ঠিক করেছিলেন তাঁরা।” কিন্তু এমন ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্য মিলবে না বলেই জানা গিয়েছে।
সমকামীদের অধিকার নিয়ে সরব সংগঠনগুলি বিষয়টিকে 'গে টাক্স' হিসেবে দেখছে এবং এই ধরনের সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy