চুলের যত্নে ভরসা থাকুক প্রাকৃতিক কিছু উপাদান। ছবি: আইস্টক।
মাসে মাসে স্পা করানোর খরচ পরতায় পোষাচ্ছে না। টান পড়ছে পকেটমানি কিংবা বাজেটে। সময়ও মেলে না সব সময়। আবার ঘন ঘন পার্লারের রাসায়নিক জিনিসপত্র চুলে ব্যবহার করলে তা ক্ষতিও করে চুলের। এ দিকে চুল সে সব শুনলে তো! একটু বাইরে ঘোরাঘুরি করলেই রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকির হানা, নইলে চটচটে হয়ে গোড়া আলগা হয়ে যাওয়ার বিরামও নেই। অগত্যা দিন দুই অন্তর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিংয়েই শান্ত রাখতে হয় তাকে।
তবে চুলের প্রকৃতি ও বাইরে বেরনোর প্রবণতার উপর নির্ভর করে চুলের যত্নের গল্প। চুলের হাজারো সমস্যাকে আয়ত্তে রাখতে শুধুই যে শ্যাম্পু-কন্ডিশনিংয়ে আস্থা রাখলেই হয়, এমনটা নয়। তাই বাড়িতেও প্রাকৃতিক কিছু উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন নিয়ে থাকেন অনেকেই।
এই সব উপাদান খুবই সহজলভ্য। ফ্রিজে রাখেন এমন কিছু জিনিস দিয়েই চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। খুব বেশি শ্রমও খরচ হয় না এতে। আবার আলাদা করে কিনে আনার ঝঞ্ঝাটও নেই। জানেন কি, ফ্রিজে রাখা কী কী উপাদানে সহজেই সারাতে পারেন চুলের বেশির ভাগ সমস্যা?
আরও পড়ুন: মৃগী রোগে শিশুকে কী ভাবে সামলাবেন? এর লক্ষণই বা কী?
বিয়ার: বাজারচলতি বিয়ার শ্যাম্পুর কথা কে না জানে! চুলকে চকচকে করতে ও তার রুক্ষ ভাব কাটানোর ক্ষমতা রয়েছে বিয়ারে। যাঁরা প্রিজে বিয়ার মজুত রাখেন, তাঁরা চুলে শ্যাম্পু করার পর বিয়ার দিয়ে কন্ডিশনিং করুন চুলের।
বেকিং সোডা: দিন কয়েক ভাল করে শ্যাম্পু করার সময় ও সুযোগ না পেলে ভরসা রাখুন বেকিং সোডার উপর। শ্যাম্পু করার সময় তাতে মিশিয়ে নিন বেকিং সোডা। মাথার ত্বক ও চুলের ময়লাকে সহজে পরিষ্কার করতে এর জুড়ি নেই।
ডিম: চুলে প্রোটিনের জোগান বাড়াতে, রুক্ষ ভাব সরিয়ে চুলকে নরম করতে ডিমের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকর। চুলের বেশির ভাগ প্যাকে ডিম যোগ করার উল্লেখ থাকে। ডিম ভেঙে মেখে নিন চুলে। মিনিট কুড়ি রেখে শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক সপ্তাহ যেতেই চুলের জেল্লার ফারাকটা বুঝতে পারবেন। খুশকি সরাতেও খুব কাজে আসে ডিম।
আরও পড়ুন: কম সময়ে দ্রুত ওজন কমে এই ডায়েটে, কারা পারবেন খেতে, কাদের বারণ?
দই: টক দই সব চুলের জন্য ভাল নয়। চুল পাতলা ও রুক্ষ হলে এটা ব্যবহার করবেন না। কিন্তু চুল যদি স্বাভাবিক ও মোটা হয় তা হলে দই ব্যবহার করুন অবশ্যই। দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান চুলকে ঝলমলে করার পাশাপাশি চুলের পুষ্টিরও জোগান দেয়।
আপেল সাইডার ভিনিগার: খুব চুল পড়লে এই উপাদানটিই আপনার চুলের কন্ডিশনিংয়ের জন্য আদর্শ। শ্যাম্পুর পর আপেল সাইডার দিয়ে ধুয়ে নিন চুল। এতে চুল পড়া কমার সঙ্গে চুলের গোড়া মজবুতও হবে।
লেবু: খুশকি রুখতে অ্যাসিটিক অ্যাসিডের ভূমিকা অনেকটাই। তাই খুশকি কমাতে উষ্ণ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন লেবুর রস। এই মিশ্রণ দিয়ে মাসাজ করুন চুলে। ঘুমনোর সময় শাওয়ার ক্যাপ জড়িয়ে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy