বেকিং সোডার কেরামতি।
ছোটবেলায় ঠাকুরমাদের আঙুল কেটে গেলে কিংবা ছ্যাঁকা লাগলে, হাতের কাছে যা পেতেন, তা দিয়েই আত্মরক্ষা করতেন। আলাদা করে রান্নাঘর ছেড়ে বেরিয়ে ওষুধ লাগানোর ফুরসত তাঁদের ছিল না। আমাদের হেঁশেলে এমন অনেক উপাদানই থাকে, যার গুণাগুণ শুধুই রান্নার পদে সীমাবদ্ধ নয়। হাজার গুণসমৃদ্ধ এমনই একটি উপাদান হল বেকিং সোডা। ঘর-বাড়ি পরিষ্কার, শরীরের যত্ন বা হঠাৎ বিপদ থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখা যেতেই পারে বেকিং সোডায়।
বেকিং সোডার অজানা গুণ:
১) দাঁত মাজার পরেও মুখ থেকে দুর্গন্ধ না গেলে এক গ্লাস জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। বেকিং সোডা দুর্গন্ধ দূরে করে। এমনকি, দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেও এর জুড়ি মেলা ভার।
২) ভিনিগার ও বেকিং সোডার মিশ্রণেও রুপোর গয়না ভাল পরিষ্কার হয়। এটি পাত্রে আধ কাপ ভিনিগার ও দু’চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিনিট পাঁচেক তাতে রুপোর গয়না ডুবিয়ে রেখে দিন। তার পর মিশ্রণ থেকে তুল ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
৩) অনেক সময়েই পোকামাকড়ের কামড়ে ত্বক জ্বালা করে। সূর্যের আলোয় চানড়া পুড়ে যায় অনেকে সময়ে। সে ক্ষেত্রে র্যাশের জায়গায় জল মেশানো বেকিং সোডা লাগালে জ্বালা কমবে।
৪) সারা দিন হাঁটাহাঁটির পর ক্লান্ত লাগাই স্বাভাবিক। ঈষদুষ্ণ জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। আরাম পাবেন।
৫) বুক জ্বালা করলে বা অম্বলেন সমস্যা হলে এক গ্লাস জলে এক চামচ বেকিং সোডা দিয়ে খেয়ে ফেলুন। বেকিং সোডা বা সোডিয়াম বাইকার্বোনেট কার্যকরী অ্যান্টাসিড। খাওয়ার মুহূর্ত থেকেই ফল পাবেন।
৬) সমপরিমাণে নুন ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। হেঁশেলের যে পথে পিঁপড়ের আনাগোনা, সেখানে ছড়িয়ে রাখুন। পিঁপড়ে পালাবার পথ পাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy