Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
denim

এ সব নিয়মে কাচলে বার বার ব্যবহারের পরেও জিনস থাকবে নতুনের মতো

কাচার কিছু নিয়ম মানলেই ডেনিম থাকবে যত্নে। রইল সে সবের হদিশ।

কৌশল অবলম্বন করলে বার বার ব্যবহারের পরেও ডেনিম থাকবে নতুনের মতো।  ছবি: আইস্টক।

কৌশল অবলম্বন করলে বার বার ব্যবহারের পরেও ডেনিম থাকবে নতুনের মতো। ছবি: আইস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৪২
Share: Save:

ফ্যশনিস্তা হোক বা পোশাকআশাক নিয়ে কম মাথা ঘামানোর মানুষ— ডেনিম ওয়ার্ড্রোবে থাকে না এমন পুরুষ সংখ্যায় খুবই কম। প্রচলিত একটি ধারণা আছে, জিনস শ্রমিকদের প্যান্ট। এক সময় খনিতে কাজ করতে আসা মানুষদের প্রতি দিন পরনের সুবিধার জন্যই এই ধরনের প্যান্ট বাজারজাত করা হয়। তবে ডেনিমের ইতিহাস নিয়ে আরও এক ঘটনা প্রচলিত আছে।

অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি। এক কাঠুরে-বউ এলেন জেকব ডব্লিউ ডেভিস নামের এক দর্জির কাছে। জঙ্গলের কাঁটাগাছে প্রায়ই জামা ছিঁড়ে যায় তাঁর স্বামীর। টানাটানির সংসারে ঘন ঘন জামা কেনার প্রশ্নই ওঠে না। তাই চাই টেকসই পোশাক। খরিদ্দারের আব্দারে দর্জির মাথায় খেলে গেল এক বুদ্ধি। তখন ফ্রান্সে সার্জ দে নিমে নামের এক ধরনের মোটা কাপড় পাওয়া যেত। সহজে ছেঁড়ে না। দামও সস্তা। এমন কাপড় দিয়েই কাঠুরের জন্য প্যান্ট তৈরি করে দিলেন জেকব। তাঁর বানানো এই প্যান্টের নাম ও গুণ ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগল না। নিমেষে বিক্রি হতে শুরু করল এমন সব প্যান্ট। কিন্তু চাহিদা বাড়লেও জোগান দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কাপড় নেই। তখন তিনি যোগাযোগ করলেন এই কাপড়ের হোলসেলার লেভি স্ত্রাউসের সঙ্গে। ইউএস পেটেন্ট বার হল ১৮৭৩-এ। এই সালকেই ব্লু জিনসের জন্মদিন হিসাবে ধরা হয়।

মূলত শ্রমিক-মজুররা এই প্যান্ট ব্যবহার করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আমেরিকান সেনার পোশাক তৈরিতেও ব্যবহার শুরু হয় ডেনিমের। আজও মূলত প্রতি দিনের পোশাক হিসেবেই ডেনিমকে ব্যবহার করে থাকি আমরা। তাই এর জৌলুস সহজেই হারায়। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে বার বার ব্যবহারের পরেও ডেনিম থাকবে নতুনের মতো। কাচার কিছু নিয়ম মানলেই ডেনিম থাকবে যত্নে। রইল সে সবের হদিশ।

আরও পড়ুন: পুজোর অনিয়মে ওজন বেড়েছে? এই সব কসরতেই ঝরবে বাড়তি মেদ

এ সব উপায়ে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে হঠাৎ মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব

ডেনিম কাচার নিয়ম

ডেনিম ধোওয়ার জন্য ভরসা রাখুন ঠান্ডা জলে। গরম জল ডেনিমের জন্য ভাল নয়। অত্যধিক ক্ষারযুক্ত সাবানে ডেনিম কাচবেন না। এতে এর রং ফিকে হয়। তাই ক্ষারযুক্ত সাবান বাদ দিয়ে মৃদু সাবানে ধুয়ে নিন জিনস। কিছু ক্ষণ সাবান-জলে ভিজিয়ে রাখুন জিনস। তার পর হালকা করে ঘষে তুলে নিন জিনসের নোংরা। কাচাকুচির পর জিনস নিংড়াবেন না। বরং টানটান করে জল ঝরাতে মেলে দিন। খানিক ক্ষণ পর রোদে দিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। রং টেকসই করে রাখতে উল্টো করে রোদে শুকাতে দিন। কাচার সময়ও উল্টো করে কাচুন। ডেনিমের পায়ের ফোল্ডে ময়লা জমে, তাই ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন ফোল্ড।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE