রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকে জেল্লা আনতে সহায় হন ঘরোয়া পন্থায়। ছবি: শাটারস্টক।
শীতের শুকনো মরসুম কাটিয়ে বসন্ত এসে দাঁড়িয়েছে দোরগোড়ায়। বাতাস থেকে রুক্ষতা বিদায় নিলেও চুল-ত্বক-ঠোঁট থেকে শীতের আঁচড় এখনও যায়নি। শীত অস্তাচলে গেলেও, দূষণ সদাই বিরাজমান। ত্বকের আর্দ্রতা উধাও, রুক্ষ-শুষ্ক চুল, ফাঁটা ঠোঁট ইত্যাদির অন্যতম কারণ দূষণের বাড়বাড়ন্ত।
মাথার চুল থেকে পায়ের নখে জেল্লা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ কিছু পন্থা অবলম্বন করার আগে কয়েকটি প্রাথমিক বিষয়কে মাথায় রাখুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, মরসুমি ফলের রস, অঙ্কুরিত ছোলা, সবুজ টাটকা সবজি ইত্যাদি সুষম পথ্য খাদ্যের তালিকায় রাখুন। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যদি সাবলীল থাকে তবে লাবণ্য চুঁইয়ে পড়বে শরীর জুড়ে।
আরও পড়ুন: ফোন হাতছাড়া করতে ভয়, কারও আবার খাবার দেখলেই আতঙ্ক! ফোবিয়ার তালিকায় যোগ হল আর কী কী?
খুশকির হাত থেকে মুক্তি পেতে ভেষজ শ্যাম্পুর লাগান
চুলের যত্ন:
গোড়া থেকে শুরু করলে, চুল থাক প্রথমেই। শীতের অন্যতম সমস্যা মাথার মৃত কোষ বা খুশকি। শীত কাটিয়ে বসন্ত এসে কড়া নাড়লেও সমস্যার সমাধান অতি সহজে মেলে না। খুশকির মোকাবিলা করতে আমলা, রিঠা, শিকাকাই, জবাকুসুম দেওয়া ভেষজ শ্যাম্পুর কোনও জবাব নেই।
পার্লারে গিয়ে হেয়ারস্পা করাতে সময় এবং টাকা দুই-ই খসবে। ঘরোয়া পদ্ধতি দ্বারা স্পা ট্রিট্মেন্ট করলে এ জাতীয় সমস্যার মুশকিল আসান হতে পারে। সপ্তাহে দু’বারশ্যাম্পু করার ঘণ্টা দেড়েক আগে জলপাই তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা গরম করে দু’-তিন মিনিটের জন্য মাথায় ম্যাসাজ করুন। এ বার, সামান্য গরম জলে তোয়ালে ডুবিয়ে, জল ঝরিয়ে মিনিট দশেক মাথায় জড়িয়ে রাখুন। সবশেষে একটি স্প্রে বোতলে চায়ের লিকার মেশানো জল ও ভাল সিরামের মিশ্রণটি ভিজে চুলে স্প্রে করুন। এতে করে শুধু যে খুশকি উধাও হবে তা নয়, অন্যদিকে চুলে ফিরে আসবে প্রাণও।
ত্বক সতেজ রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
ত্বকের যত্ন:
এত গেল চুলের কথা! মুখের ত্বক হোক বা শরীর, তাতে স্বাভাবিক তেলা ভাব ধরে রাখতে সরাসরি ঠান্ডা জল ব্যবহার না করে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। আলতো করে তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিয়ে তার পর ময়েশ্চারাইজার লাগান। ঘরোয়া উপায়ে চটজলদি মুখে ঔজ্জল্য আনতে জবা ফুলের গুঁড়োর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ফেস সিরাম হিসাবে ব্যবহার করুন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাবেন আপনার ঝাঁ চকচকে ত্বক।
শীতের শুষ্কতা গ্রাস করে গোটা দেহকে। রুক্ষ শরীরে মসৃণতা বজায় রাখতে স্নানের আগে অলিভ অয়েল মাখুন। তাতে পুরনো কোষ ঝরে যাবে। স্নান শেষে অবশ্যই বডি ক্রিম লাগিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: শত কাজের মাঝেও ব্যায়ামকে ভুলেও অবহেলা নয়
ঠোঁটের যত্ন:
খরখরে ফাঁটা ঠোঁটে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে চিনি ও মধুর জুড়ি মেলা ভার। লিপবাম আপনার ঠোঁটকে আপেক্ষিকভাবে রক্ষা করলেও দিনের শেষে আপনার ঠোঁট হারিয়ে ফেলে দ্যুতি। ঘুমের আগে হালকা করে সামান্য মধু লাগিয়ে ঘুমতে যান। এরকম কয়েক সপ্তাহ ধরে করুন, হাতে নাতে ফল পেতে বাধ্য।
প্রাকৃতিক স্ক্রাবার হিসেবে চিনির গুণও কম নয়। চিনি দিয়ে স্ক্রাব করলে ঠোঁটের কালচে দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি মরা চামড়াও দূর হবে।
নোংরা ও জীবাণুর মতো ঝামেলাকে দূরে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন
পায়ের যত্ন:
শীতের সঙ্গে পায়ের সম্পর্ক আগাগোড়াই আদায় কাঁচ-কলায়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অন্যান্য মরসুমের চেয়ে কম থাকায় পা ফাটার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে পায়ে কোকোনাট শিয়া বাটার ক্রিম লাগালে অনেকক্ষণ তার নরম রেশ থাকবে। আর গোড়ালিতে যদি পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে পরিষ্কার মোজা পরা যায়, তবে নোংরা ও জীবাণুর মতো ঝামেলাকে দূরে রাখা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy