Advertisement
০৬ অক্টোবর ২০২৪
Celebs Durga Puja

শাশুড়ির হাতের পোলাও আর দুর্গামায়ের ভোগ ছাড়া পুজোর পেটপুজো অসম্পূর্ণ: অদিতি

দেখে তেমন বোঝা না গেলেও খাদ্যরসিক মানুষ সঙ্গীতশিল্পী তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তাঁর পুজোর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। পুজোর পেটপুজো নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন অদিতি।

পুজোর পেটপুজো নিয়ে আড্ডায় অদিতি মুন্সি।

পুজোর পেটপুজো নিয়ে আড্ডায় অদিতি মুন্সি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ১০:০০
Share: Save:

দুর্গাপুজোর সঙ্গে খাওয়াদাওয়ার যোগ নিবিড়। মন ভরে পেটপুজো না করলে দুর্গাপুজোটা ঠিক জমে না! সারা বছর ডায়েট করলেও পুজোর ক’টা দিন ওজন নিয়ে খুব বেশি পরোয়া করেন না অনেকেই। সেই তালিকায় বাদ পড়েন না অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে গায়ক-গায়িকারাও। দেখে তেমন বোঝা না গেলেও খাদ্যরসিক মানুষ সঙ্গীতশিল্পী তথা বিধায়ক অদিতি মুন্সি। তাঁর পুজোর খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। পুজোর পেটপুজো নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে আড্ডায় বসলেন অদিতি।

পুজো মানেই তো পেটপুজো। আর পুজোয় স্ট্রিটফুড বাদ দিলে কী করে চলবে! অদিতি বলেন, ‘‘ছোট-বড় যে কোনও পুজোর প্যান্ডেলের বাইরে লোভনীয় সব খাবারের স্টল বসে। বছরের অন্য দিনগুলোয় না হলেও পুজোর সময় কিন্তু আমায় গাড়ি থামিয়ে ওই সব ভাজাভুজি খেতেই হবে। ইদানীং আমি বোনের পাল্লায় পড়ে ফুচকা খেতেও শুরু করেছি। আগে খুব একটা ভালবাসতাম না, তবে এখন বেশ কয়েকটা ফুচকা একসঙ্গে খেয়ে ফেলতে পারি, তবে জল ছাড়াই ভাল লাগে।’’

বাড়িতে তৈরি হালকা-পাতলা রান্নাই পছন্দ করেন অদিতি। শিল্পী বলেন, ‘‘আমার প্রিয় খাবার হল আলুসেদ্ধ ভাত। ওটা পেলে আর কিছুই চাই না। তবে পুজোর ক’দিন ভাল-মন্দ খেতেই হবে। পুজোর ক’দিন সকালের জলখাবারে প্রায়ই ময়দার লুচি আর সাদা আলুর চচ্চড়ি থাকে। দুপুরে মায়ের ভোগ খাওয়া হয়। পুজোর সময় জমিয়ে মিষ্টি খাওয়া হয়। মিষ্টির মধ্যে রসমালাই আমার ভীষণ প্রিয়। অষ্টমীর দিন আমরা অন্ন খাই না। ওই দিন লুচি-আলুর দম কিংবা ছোলার ডাল দিয়েই জমে যায় দুপুরের ভোজ। এ ছাড়া পুজোর সময় শাশুড়ি স্পেশ্যাল পোলাও বানান, ওই পোলাওয়ের স্বাদ অতুলনীয়। মাংস খাই না, তবে পুজোর বাকি দিনগুলিতে মাছ খাওয়া হয়। আমার প্রিয় ছোট মাছ। তাই আমার জন্য বাজার থেকে বিশেষ করে মৌরলা, পুঁটি, কই, ট্যাংরার মতো মাছ আনা হয়।’’

রান্না করা হয়? মুচকি হেসে গায়িকা বললেন, ‘‘রান্না করতে পারি। তবে রোজের রান্না করা হয় না। আমার বাড়িতে জন্মাষ্টমী লক্ষ্মীপুজো আর জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। তখন ঠাকুরের ‌ভোগ রান্নাটা নিজের হাতেই করি প্রতি বছর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE