হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লের।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪০ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লের। মৃত্যুর কারণ জেনে হতবাক গোটা দেশ। অনেকেই জানেন, যথেষ্ট শরীরচর্চা করতেন বিগ বস জয়ী সিদ্ধার্থ। স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন। তবে এই বয়সে এমন ঘটনা কী ভাবে ঘটল?
আসলে সিদ্ধার্থের মৃত্যু একটি কঠিন সত্য সামনে এনেছে। হৃদ্রোগের কোনও বয়স হয় না। এ দেশের নানা প্রান্তে কম বয়সে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদ্রোগে। মৃত্যুও ঘটছে। কিন্তু সচেতনতা ছড়াচ্ছে না। তাই এখনও এমন একটি ঘটনায় অবাক হচ্ছেন অনেকে।
বছর কয়েক আগেও হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়া ছিল বার্ধক্যের সমস্যা। জীবনযাত্রায় দ্রুত বদল হৃদ্রোগের আশঙ্কা বাড়িয়েছে কম বয়সিদের মধ্যেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রায় অনিয়ম এবং শরীরচর্চার অভাব কম বয়সে এমন সঙ্কট ডেকে আনছে। সিদ্ধার্থের অবশ্য শরীরচর্চায় মন ছিল যথেষ্টই। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন, অতিরিক্ত ব্যায়ামই অসময়ে মৃত্যু ডেকে আনল। তবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি শরীরচর্চাও যে আসলে অনিয়মের লক্ষণ। তার থেকেও মানসিক চাপ তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর।
খেয়াল রাখা জরুরি এ দেশে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে প্রতি বছরই। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১-এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ বেড়েছে হৃদ্রোগে আত্রান্ত হয়ে মৃত্যু।
কেন বাড়ছে কম বয়সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা?
আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিয়োলজির একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৩০-৪০ বছর বয়সের মানুষদের মধ্যে দিন দিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। গত এক বছরে ২ শতাংশ বেড়েছে এই প্রবণতা। ২০১৯ সালের একটি গবেষণা বলছে, খাওয়াদাওয়া ও কাজের সময়ের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নিয়ম না থাকায় অধিকাংশের হৃদ্যন্ত্র দুর্বল হচ্ছে। জীবনযাত্রার গতি যত বাড়ছে, ততই উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে কম বয়সিদের মধ্যে। টানা কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কাজ করতে হয় অনেককে। তার থেকে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যায়। স্থূলতার কারণেও হৃদ্যন্ত্রে চাপ পড়ছে। যা হদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে।
কী ভাবে নিজের যত্ন নিতে হবে?
বয়স ৩০ ছোঁয়া মাত্রই সতর্ক হওয়া জরুরি। এই সময় থেকে যদি স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিশেষ ভাবে সচেতন হওয়া যায়, তা হলে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখা সম্ভব। নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার।
বেশ কিছু গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই বয়সের মানুষদের মধ্যে মানসিক চাপ অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে। তার জের গিয়ে পড়ছে শরীরের উপর। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় বার করতে হবে। নিয়মিত ধ্যান করা যেতে পারে। তার সঙ্গেই ছাড়তে হবে ধূমপানের অভ্যাস। মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভাজাভুজি খাওয়াও বন্ধ করে দেওয়া জরুরি।
হঠাৎ কি কেউ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হতে পারেন? আগে থেকে কি কিছু টের পাওয়া যায়?
অনেক সময়েই আগে থেকে ইঙ্গিত দেয় শরীর। কিন্তু সব সময়ে তা বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে শরীরে কী ভাবে হৃদ্রোগ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্কেত দিতে পারে, তা জেনে রাখা জরুরি। হঠাৎ বমিভাব, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। অনেকের হঠাৎ খুব ঘাম হতে শুরু করে। টানা ক্লান্তিও বিপদের একটি উপসর্গ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy