বিদ্যুতের বিলের খরচ বাঁচবেন কোন কোন উপায়ে? ছবি: সংগৃহীত।
দিন দুয়েক ধরে বৃষ্টি হলেও গরম কিন্তু কিছুতেই কমছে না। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি যেন আরও বেড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে ঘরের ভিতরের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহার। অবশেষে মাসের শেষে মুখ হাঁ করে বিল হাতে নিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকতে হয়। কেবল এসি, ফ্রিজের ব্যবহার বাড়লেই কিন্তু বিদ্যুতের খরচ বাড়ে না। রোজের কিছু অভ্যাসে বদল আনলেও কিন্তু মাসের শেষে বিদ্যুত্যের বিলে বড়সড় ফারাক দেখা দিতে পারে।
শুধু বিদ্যুতের বিল বাঁচাতেই নয়, বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে হবে প্রাকৃতিক কারণেও। কিছু নিয়ম মেনে চললে এই বিলের খরচ যেমন কমবে, তেমনই রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। শুধুমাত্র আলো-পাখার ব্যবহার কমানোই নয়, খরচ বাঁচাতে অবলম্বন করতে হবে কিছু কৌশল।
১) মোবাইল চার্জার থেকে খোলার পর সুইচ বন্ধ করার অভ্যাস নেই অনেকেরই। এই ভুলে বাড়ে বিদ্যুতের বিল। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এতেও অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।
২) ঘরে সিএফএল ও এলইডি আলো লাগাতে পারেন। এই আলোয় বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। সাধারণ বাল্বে আলোর জন্য ফিলামেন্ট ব্যবহৃত হয়, অন্য দিকে এলইডি আলোয় থাকে সার্কিট। ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিটে বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই কম হয়।
৩) বার বার এসি চালু ও বন্ধ করবেন না। যত বার এসি বন্ধ করে চালাবেন, তত বেশি ইউনিট পোড়ে। এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রাখাই সবচেয়ে ভাল। বাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রে এনার্জি সেভার মোড থাকলে, তা ব্যবহার করবেন।
৪) ফ্রিজের বেলাতেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভিতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবারদাবারও নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। ফ্রিজে খুব গরম খাবার রাখবেন না। একটু ঠান্ডা করে তার পর তুলুন ফ্রিজে। তাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।
৫) মনে রাখবেন, বাড়িতে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যে এসি মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ভেন, ফ্রিজ, গিজ়ার, বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকে ও কম বিদ্যুৎ টানে। সামান্য টাকা বাঁচাতে সার্ভিসিং করান না অনেকে। এতে কিন্তু পরবর্তী সময়ে খরচটা উল্টে অনেক বেশি পড়ে যায়।
৬) পুরনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র তুলনামূলক ভাবে বিদ্যুতের খরচ বা়ড়ায়। তাই বেশি পুরনো (দশ বা পনেরো বছরের) বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক বার খারাপ হয়ে গেলে ওটা সারাই না করিয়ে ওই জায়গায় নতুন মেশিন ব্যবহার করাই বিবেচকের কাজ।
৭) বৈদ্যুতিক যন্ত্রে বাড়ি ভরে না ফেলে কিছু সৌর বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রও ব্যবহার করতে পারেন। খোলা বাজার থেকে শুরু করে ই-মার্কেটেও পেয়ে যাবেন সোলার কুকার, সোলার চিমনি, সোলার চার্জারের মতো দরকারি যন্ত্রপাতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy