টিকটিকি বিছের খাদ্য, না কি বিছে টিকটিকির? ছবি: সংগৃহীত।
টিকটিকি বিছের খাদ্য, না কি বিছে টিকটিকির? সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘সোনার কেল্লা’ ছবির দৃশ্য। সেই ছবির এক খলনায়ক মন্দার বোস, গোয়েন্দা প্রদোষ মিত্রের বিছানায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বিষাক্ত কাঁকড়াবিছে। যদিও বিষাক্ত বিছের কামড় খেতে হয়নি গোয়েন্দাকে। তবে কাঁকড়াবিছের হুল খেলে বাচ্চা, বুড়ো কিংবা কমবয়সিদের কী হতে পারে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছিলেন ফেলুদা। লাস ভেগাসে ছুটি কাটাতে এসে সেই বিছেরই হুল খেয়ে প্রায় আধমরা হতে হল ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রৌঢ়কে। ফেলু মিত্তিরের মতোই মগজাস্ত্রের জোরে প্রাণে বাঁচলেন তিনি।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসের শেষে নিজের পরিবারের সঙ্গে লাস ভেগাসে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন মাইকেল ফার্চি নামের ওই প্রৌঢ়। সেখানকার এক বিলাসবহুল হোটেলে থাকার ব্যবস্থা আগে থেকেই করা ছিল। সেখানে পৌঁছনোর পর, রাতে খাওয়াদাওয়া করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পড়েছিলেন। মাইকেল বলেন, “ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ মনে হয় কেউ যেন ভাঙা কাচ বা ছুরি দিয়ে আমার গোপনাঙ্গে আঘাত করছেন।” তৎক্ষণাৎ শৌচাগারে গিয়ে পরিহিত সমস্ত পোশাক খুলে ফেলতেই বেরিয়ে আসে একটি কাঁকড়াবিছে। অন্তর্বাসের মধ্যে কোনও ভাবে ঘাপটি মেরে বসেছিল সেই প্রাণীটি। ভয় না পেয়ে, অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে অন্তর্বাসে ঝুলতে থাকা বিছেটির কয়েকটি ছবিও তুলে রেখেছিলেন মাইকেল।
মাইকেলের ফোনে তোলা ছবি প্রথমটায় পরিবারের কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি। বৃত্তান্ত শুনে হোটেলের কর্মীরাও বাক্রুদ্ধ! তবে তাঁরাই মাইকেলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসককে বিছের ছবি দেখাতেই তার প্রজাতি এবং বিষের ধরন বুঝে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু হয়। অনেকটা ফেলু মিত্তিরের মগজাস্ত্রের মতোই বুদ্ধির জোরেই প্রাণে বেঁচে যান মাইকেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy