সুগন্ধি মাখতে পারবেন না বিমানকর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার থেকে বিমানে ওঠার আগে বিমানকর্মীরা আর কোনও রকম সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন না। তেমনই নিয়ম আনতে চলেছে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণের নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ।
শুধু তাই নয়, অ্যালকোহল রয়েছে এমন সমস্ত প্রসাধনী এবং ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রতি বার বিমানে ওঠার আগে কিংবা পরে ‘ব্রিদঅ্যানালাইজ়ার’-এ শ্বাস-প্রশ্বাস পরীক্ষা করাতে হয় বিমানকর্মীদের। মাউথওয়াশ কিংবা ওষুধে অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকায়, প্রতি বার সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের।
ডিজিসিএ-এর প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, “বিমানে ওঠার আগে কর্মীরা মদ্যপান করেছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে এই পরীক্ষা করাতে হয়। কিন্তু প্রত্যেক বারেই যন্ত্রের জালে আটকে পড়েন বহু কর্মী। তার পর তাঁদের সংস্থার নিজস্ব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়। সেখানেও বিস্তর পরীক্ষানিরীক্ষা হয়। তার পরে যদি চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট বিমানকর্মীকে অ্যালকোহলমুক্ত বলে শংসাপত্র দেন, তবেই বিমানে ওঠার অনুমতি মেলে। যা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ এবং ঝুঁকিপূর্ণ।”
বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছেন বহু বিমানচালক। সুগন্ধি, আফটার শেভ লোশন, এমনকি, হোমিয়োপ্যাথি ওষুধ খেলেও তাঁরা এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেন না। সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে ওঠা এবং বিমান চালানোর কাজে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ব্রিদঅ্যানালাইজ়ার পরীক্ষায় প্রথম বার পাশ করতে না পারলে তিন মাস, দ্বিতীয় বারের ক্ষেত্রে তিন বছর এবং তৃতীয় বারের ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে ‘মদ্যপ’ বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়। এই সমস্ত ঝামেলা এড়াতেই নতুন নিয়ম আনতে চলেছে ডিজিসিএ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy