কেনাকাটার ফাঁকে ভূরিভোজও চলুক। ছবি: সংগৃহীত।
চারদিকে পুজোর আমেজ। শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। পুজো আসতে হাতেগোনা কয়েক দিন বাকি থাকলেও উৎসবের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। কেনাকাটা চলছে জোরকদমে। পুজোর সাজ বলে কথা, পাঁচটা দোকান ঘুরে সেরা পোশাকটি কেনা চাই। পুজোর কেনাকাটা করতে গিয়ে পেটপুজো না করে বাড়ি ফিরলে মনের মধ্যে একটা অদ্ভুত অস্বস্তি হয়। কোন ঠিকানায় খেতে যাবেন তা ঠিক করতেই অনেকটা সময় কেটে যায়। এ দিকে, উৎসবের মরসুমে শহরের বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁর মেনু নতুন করে সেজে উঠেছে। কেনাকাটার ব্যস্ততার ফাঁকে ভূরিভোজ সারতে কোথায় কোথায় যেতে পারেন?
পুজো উপলক্ষে ‘হোয়্যাট্স ক্যাফে’তে থাকছে বিশেষ পুজো থালি ‘পুজো আসছে’। এই থালি দেখলেই মনে হবে পুজোর আগেই পুজোর ভোজ শুরু হয়ে গিয়েছে। থালিতে থাকছে ভাত, ডাল, বাদাম দিয়ে ঝুরি আলু ভাজা, ফিশ ফ্রাই, লুচি, আলুর দম, কষা মাংস, বাসন্তী পোলাও, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, কাঁচা আমের চাটনি, পাঁপড় এবং গোবিন্দভোগ চালের পায়েস। থালির দাম পড়বে ৯৫০ টাকা। ১৪ অক্টোবর, মহালয়া পর্যন্ত এই থালি পাওয়া যাবে ক্যাফেতে।
কাঁকুড়গাছি চত্বরে পুজোর কেনাকাটা করতে গেলে ভূরিভোজ করতে ঢুঁ দিতে পারেন ‘অপু’জ কিচেন’-এ। বাঙালি খানা তো আছেই, সঙ্গে তন্দুরি, মোগলাই, ইন্দো-চিনা খাবারও থাকছে। চিকেন বিরিয়ানি, তন্দুরি কবাব, রোস্টেড চিকেন, রেশমি কবাব, কুং পাও চিকেন, ক্রিসপি ফ্রায়েড চিকেন, ড্রামস অফ হেভেন— পুজোর মরসুমে নানা স্বাদের খাবারে সেজে উঠেছে মেনু। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ৬০০ টাকা।
ফুলবাগান মেট্রোর কাছেই সদ্য তৈরি হয়েছে ‘পি৪ এক্সপ্রেস ক্যাফে’। কফি থেকে শুরু করে নানা স্বাদের বাহারি খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়। মেনুতে থাকছে শাকসুকা, পিৎজা, হরিসা কটেজ চিজ, স্প্যাগেটি অলিও, অ্যাপেল পাই, ফিশ অ্যান্ড চিপস, ক্যাপুচিনো এবং আরও অনেক কিছু। দু’জন এলে খরচ পড়বে ৮০০ টাকার কাছাকাছি।
গড়িয়াহাট থেকে জমিয়ে কেনাকাটার পর খিদে পেয়ে গেলেও চিন্তা নেই। কারণ পাশেই আছে ‘ওয়ান্ডার ওক’। এই ঠিকানায় থাকছে নানা স্বাদের খাবার। মঙ্গোলিয়ান চিকেন, টম ইয়াম স্যুপ, বাটার গার্লিক স্যুপ, রোস্টেড চিলি চিকেন, ক্রিসপি পর্ক, প্রন অ্যান্ড পেপার গার্লিক সস্। দু’জনের মন ভরে খাওয়াদাওয়া করতে খরচ পড়বে ৭৫০ টাকা।
হিন্দুস্তান পার্কের ‘দ্য কান্ট্রি কোর্টইয়ার্ড’-এর মেনু পুজোর মরসুমে নতুন করে সেজে উঠেছে। বেকন র্যাপড প্রন, ফ্রায়েড কালামারি, গ্রিলড অক্টোপাস উইথ গার্লিক প্রন, গ্রিলড প্রন। সামুদ্রিক খাবারের অন্যতম এই ঠিকানায় পুজোর ভূরিভোজ মন্দ হবে না।
পুজো মানেই প্রেমের মরসুম। উৎসবের আমেজ গায়ে মেখে প্রেমের উদ্যাপন করতে সঙ্গীকে নিয়ে যেতে পারেন ‘বায়ু’তে। মনের মতো স্বাদের বিয়ার এবং ওয়াইন খেতে আসতেই পারেন এখানে। ডার্টস বিয়ার, বিয়ার পং, ফ্লিপ কাপ, কফি বিয়ার, বাটার বিয়ার, বিয়ার ককটেল— ১০-১২ ধরনের বিয়ার ককটেল থাকছে এই বারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy