বিয়ের আগে গভীর বন্ধুত্ব ছিল অনুপম-পিয়ার। ১১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার তাঁরা যৌথ ভাবে টুইটারে তাঁদের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
আলাপ হয়েছিল চন্দ্রবিন্দুর গানের আলোচনা নিয়ে। সেই আড্ডা গড়িয়ে ছিল অনেক দূর। ভালবাসার অনেক আগে বন্ধুত্ব গভীর হয়ে গিয়েছিল দু’জনের। তার পরে অবশ্য যথাক্রমে প্রেম, সম্পর্ক এবং শেষমেশ সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন অনুপম রায় এবং পিয়া চক্রবর্তী। বিয়ের প্রায় ৬ বছর পর তাঁরা যৌথ ভাবে টুইটারে জানান, বিচ্ছেদ বেছে নিলেন তাঁরা। এর পর থেকে ফের ‘বন্ধু’ হয়েই থাকবেন দু’জনে।
‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ দেখে যাঁরা বড় হয়েছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই এখনও ‘পেয়ার দোস্তি হ্যায়’। তবে বলিউডের বাইরে বেরোলে অনেকেই মানবেন যে, প্রেম মানেই বন্ধুত্ব নয়। তবে পাশাপাশি এটাও অনেকেই এক বাক্যে মানবেন, যে কোনও সম্পর্কের একটি বড় অংশ জু়ড়ে থাকে বন্ধুত্ব। যদি মন খুলে নিজের কথা একে অপরকে বলতেই না পারেন, পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আনন্দ-তর্কে না জড়াতে পারেন, একে অপরের ভাল বন্ধু না হয়ে উঠতে পারেন, তা হলে সেই সম্পর্ক পোক্ত হওয়া মুশকিল। কিন্তু একটি বিয়ে টিকিয়ে রাখতে বন্ধুত্বের ভূমিকা ঠিক কতটা? শুধু বন্ধুত্ব দিয়ে কি একটি বিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব?
আপনার স্বামী বা স্ত্রী শুধুই আপনার বন্ধু নয়
বন্ধুদের আমরা বেছে নিই। জীবনসঙ্গীও আমরা অনেকে বেছে নিই বটে। কিন্তু তাঁদের আর বন্ধুদের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বন্ধু চাইলেই চলে যেতে পারেন। অন্তত কিছু দিনের বিরতি তো নিতেই পারেন। প্রত্যেক দিন আপনার সঙ্গে কথা না-ও হতে পারে, ইচ্ছে করলেই সে খানিক দূরে চলে যেতে পারে। কিন্তু জীবনসঙ্গীর সেই স্বাধীনতা খানিক কম তো বটেই। তাঁর আপনার প্রতি দায়বদ্ধতা বেশি, অধিকারবোধও বেশি। তাই সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে বাধ্য।
আর্থিক যোগ
বন্ধুদের সঙ্গে টাকাপয়সার হিসাব যতই কম হোক, একটা বোঝাপড়া তো থাকেই। একজন একটি খরচ দিলে হয়তো অন্য জন অন্য কিছু সামলে দেন। সেই ব্যবস্থা যদি কারও না পোষায়, তা হলে তিনি অনায়াসে চলে যেতেই পারেন। বিয়েতে সেই অবকাশ নেই বললেই চলে। কোনও আর্থিক বিষয়ে মতোবিরোধ হলে তার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দু’জনকেই লড়ে যেতে হয়।
বন্ধুত্ব এবং...
স্বামী-স্ত্রী বন্ধু হলে সব সমস্যার নাকি সহজে সমাধান হয়ে যায়। সত্যিই কি তাই? না কি কোনও কোনও ক্ষেত্রে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বন্ধু হলে নির্দ্বিধায় আপনি যেই সত্যিই কথাগুলি বলে দিতে পারবেন, জীবনসঙ্গী হিসাবে কি অতটা নির্মম হওয়া সম্ভব? ইতিবাচক সমালোচনা যেমন প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন সমবেদনা, স্নেহ এবং পাশে দাঁড়ানোর। হয়তো আপনার স্ত্রী একটি পাকা চাকরি ছে়ড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান। বন্ধু হিসেবে আপনি বলে দিতেই পারেন, তাঁর ব্যবসাবুদ্ধি নেই, এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনি সন্দিহান। কিন্তু আপনার মনে যতই সংশয় থাক, স্বামী হয়ে আপনাকে স্ত্রীয়ের পাশে দাঁড়াতেই হবে। কারণ বন্ধুত্বের বাইরেও আরও অনেকগুলি দায়িত্ব চলে আসে একটি বিয়েতে। বন্ধু ছাড়াও নানা রকম ভূমিকা পালন করতে বাধ্য হন সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy