পোষ্যদের খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ যত্ন নেওয়ার দরকার। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বাড়লে মানুষের মতো পোষ্য সারমেয়দেরও নানা রকম শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। হার্টের সমস্যা, ডায়াবিটিস, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হতে পারে তাদেরও। তা ছাড়া দেখবেন, কিছু খেলেই বমি করছে। ঘন ঘন পেটের সমস্যা হচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে পোষ্য। পোষ্যদের সুস্থ রাখতে তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। সে জন্য পোষ্যদের খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে।
পশু চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, আপনি নিজে যে তেলে রান্না খাবার খান, তা পোষ্যদের খাওয়ালে চলবে না। তাই ওদের এমন খাবার দিতে হবে, তা চটজলদি হজম হয় এবং যা থেকে শরীর খারাপ না হয়। পোষ্যদের খাবারে তেলের ব্যবহার না হওয়াই উচিত, সিদ্ধ খাবারই ওদের খাওয়ানো ভাল। তাও যদি তেলে রান্না কোনও খাবার দিতে হয় তাহলে কী ধরনের তেল ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নিন।
১) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সারমেয়দের জন্য খুবই ভাল। আপনার যদি পোষা কুকুর থাকে, তা হলে বড় মাছ বা মাছের তেল খাওয়াতে পারেন। মাছের তেলে ‘ইডিএ’ ও ‘ডিএইচএ’ নামে দু’টি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা কুকুরদের অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
২) আপনার পোষ্যের যদি হজমের সমস্যা থাকে, তা হলে ভুলেও সর্ষের তেলে রান্না খাবার খাওয়াবেন না। বদলে নারকেল তেলে হালকা রান্না খাবারই দেবেন। নারকেল তেল খেলে ওদের শরীর ভাল থাকবে, চামড়া খসখসে হবে না, চর্মরোগের ঝুঁকিও কমবে।
৩) অলিভ তেল সব সময়েই পোষ্যদের জন্য ভাল। দোকানে গিয়ে বেছে ভাল ব্র্যান্ডের অলিভ তেল কিনবেন। অলিভ তেল খেলে সারমেয়দের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। হজমের সমস্যাও দূর হয়।
৪) সূর্যমুখী তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই তেল পোষ্যদের জন্য বেশ ভাল।
সব রকম ভোজ্য তেল পোষ্যদের জন্য নয়। অনেক সারমেয়রই সয়াবিন তেলে অ্যালার্জি থাকে। আবার পিনাট বাটার অথবা সাদা মাখন অনেক সারমেয়রই সহ্য হয় না। তাই পোষ্যের ডায়েট ঠিক করার আগে অতি অবশ্যই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy