সম্পর্ক সুখের হয় দু’জনের গুণেই। ছবি: সংগৃহীত।
সম্পর্ক সুখের হয় দু’জনের গুণেই। দু’জন মানুষের একসঙ্গে পথচলায় জটিলতা যে কখনও আসবে না, তা হলফ করে বলা যায় না। কিন্তু পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কৌশলও জানতে হবে। সম্পর্ক হল অনেকটা গাছের মতো। যত্ন প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ জল, হাওয়া, আলো পেলেই তরতর করে গাছ বেড়ে ওঠে। সম্পর্ক মসৃণ করতেও তাই সঠিক যত্ন প্রয়োজন। সেই যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দু’জনেরই। সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখার কিছু উপায় রয়েছ। সেগুলি যদি মেনে চলা যায়, তা হলে ভালবেসে ভাল থাকা খুব একটা অসম্ভব কিছু নয়।
প্রত্যাশা নিয়ন্ত্রণে থাক
ভালবাসলে প্রত্যাশা জন্মাবেই। তবে সেই প্রত্যাশা যেন মাত্রাছাড়া না হয়। কারও পক্ষেই সব চাহিদা, প্রত্যাশা পূরণ করা সম্ভব নয়। ভালবাসেন যখন, উল্টো দিকের মানুষটিকে কিছুটা হলেও চেনেন। এমন কোনও প্রত্যাশা তাঁর থেকে না রাখাই শ্রেয়, যা তিনি পূরণ করতে পারবেন না। নচেৎ কষ্ট পাওয়া ছাড়া উপায় নেই।
সম্পর্কে সম্মান থাক
প্রেমের সম্পর্কে ভালবাসা আর সম্মানের সহাবস্থান জরুরি। সম্মানহীন কোনও সম্পর্কের পথ কখনই মসৃণ হয় না। পরস্পরের মতামতও সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি। সঙ্গী যদি কোনও বিষয়ে রাজি না থাকেন, কোনও কারণ জানতে না চেয়েই তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানানো উচিত।
অতিরিক্ত কৌতূহল না থাকাই ভাল
ভালবাসা মানেই একটা অপার রহস্য। সেই রহস্য ভেদ করে ফেললেই বরং একঘেয়ে লাগতে শুরু হতে পারে। তাই অতিরিক্ত কৌতূহল তৈরি না করাই ভাল। ভাল থাকার জন্য যেটুকু জানার এবং জানানোর, তাতেই সীমাবদ্ধ রাখুন নিজেকে। বাড়তি কিছু জানার চেষ্টা না করাই শ্রেয়।
খোলাখুলি কথা বলুন
রাগ, অভিমান, সংশয়, সন্দেহ— সঙ্গীকে নিয়ে মনের কোণে যে অনুভূতিই তৈরি হোক, তা সরাসরি বলে দিন। এমনকি ভালবাসার কথাও। সম্পর্কটা দু’জনের। সেখানে গোপনীয়তার পর্দা টেনে রাখলে অযথা ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। সেই ঝুঁকি না নিয়ে বরং আলোচনা হোক খোলাখুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy