রোজ রোজ শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা না করলে প্রিয় পোষ্যটিকেই সঙ্গী করে নিন। এমনিও পোষা কুকুরদের রোজ খেলাধুলা বা ব্যায়াম করানোরই পরামর্শ দেন পশুচিকিৎসকেরা। তাতে ওদের শরীর ভাল থাকে, অনেক বেশি চনমনে থাকে। কাজেই ওর সঙ্গে যদি আপনিও একটু কসরত করে নেন, তা হলে একবারেই দুই কাজ হয়ে যাবে। আর পোষ্য পাশে থাকলে মনও ভাল থাকবে। ওকে খেলাধুলা করাতে গিয়ে আপনার মধ্যেও শরীরচর্চার আগ্রহ বাড়বে।
পোষ্যের সঙ্গে কী কী ব্যায়াম করতে পারবেন?
একসঙ্গে হাঁটুন
সকালে হোক বিকালে— ওর সঙ্গে হাঁটতে বেরোন। খোলা হাওয়ায় প্রকৃতির মাঝে বেশ কিছু ক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারলে পোষ্যের মন যেমন ভাল থাকবে, তেমনই আপনারও মানসিক চাপ কমবে। প্রতি দিন ভোরে বা বিকেলে হাঁটার অভ্যাস করতে পারলে ভাল হয়। অন্তত ৩০ মিনিট করেও রোজ হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল হবে। পোষ্যেরও যদি এই অভ্যাস হয়ে যায়, তা হলে দেখবেন ওর দৌড়ঝাঁপের কারণে আপনিও বেরোতে বাধ্য হচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি দৌড়ন
কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিন, সে যেন আপনার পাশে পাশে দৌড়োয়। দু’জনের গতি আলাদা হলে কিন্তু এই শরীরচর্চা থেকে মজাটা হারিয়ে যাবে। পোষা কুকুরকে দৌড়নো বা জগিং-এর অভ্যাস করাতে পারলে আপনারও রোজ ঘড়ি ধরে দৌড়নোর অভ্যাস হয়ে যাবে। প্রতি দিন ২০ মিনিট করেও যদি জগিং বা দৌড়নোর অভ্যাস করতে পারেন, তা হলে জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলারও দরকার পড়বে না।
বুঝেশুনে সাঁতার
সাঁতারও খুব ভাল ব্যায়াম। তবে সব কুকুর জলে বেশি ক্ষণ হয়তো থাকতে চাইবে না। পোষ্যকে কিছু ভাল ওয়াটার গেম শিখিয়ে দিন। তা হলে ওর সঙ্গে আপনারও কসরত করা হয়ে যাবে। তবে জল যেন পরিষ্কার থাকে তা দেখে নিতে হবে। দূষিত জলে ওদের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। তা ছাড়া ১৫ মিনিটের বেশি জলে থাকবেন না।
পোষ্যের সঙ্গে খেলা
বল ছোড়াছুড়ি বা ফ্রিসবি খেলতে খুবই পছন্দ করে কুকুরেরা। ফ্লাইং ডিস্ক ছুড়ে ওদের সঙ্গে খেলতে পারেন। তবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে নয়, আপনাকেও দৌড়তে হবে ওর সঙ্গে। চেষ্টা করবেন, একটু বেশি দূরে ডিস্কটি ছুড়তে, তাতে অনেকটা দৌড়নো হয়ে যাবে।
নাচানাচি করুন
গান চালিয়ে নাচুন। পোষ্যকেও কিছু সহজ স্টেপ শেখানোর চেষ্টা করুন। পোষ্যদের জন্য এটি খুবই ভাল ব্যায়াম। একে বলে ‘মিউজ়িক্যাল ক্যানাইন ফ্রিস্টাইল’। এর জন্য পোষ্যকে প্রশিক্ষণও দিতে পারেন। বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে প্রতিযোগিতাও হয়। এতে পোষা কুকুরদের মন ও শরীর দুই-ই ভাল থাকে।