Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
parenting Tips

সন্তান কী ভাবে পালন করা উচিত, বললেন তৈমুর-অনন্তের ‘ন্যানি’, ললিতা ডিসিলভা

অনন্ত অম্বানীকে বড় করেছেন তিনি। দেখভাল করেন সইফ-করিনার সন্তান তৈমুর ও জেহ-কেও। তারকা সন্তানদের সামলে, অভিভাবকত্ব নিয়ে কী বলছেন ‘ন্যানি’ ললিতা?

তারকা সন্তানদের সামলে, অভিভাবকত্ব নিয়ে কী বলছেন ‘ন্যানি’ ললিতা?

তারকা সন্তানদের সামলে, অভিভাবকত্ব নিয়ে কী বলছেন ‘ন্যানি’ ললিতা? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৮:০১
Share: Save:

ছোট থেকেই সে ফটোশিকারিদের নজরে। হবে না-ই বা কেন! সে যে তারকা-সন্তান। করিনা কপূর ও সইফ আলি খানের বড় ছেলে তৈমুর আলি খান। ছোট থেকে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে তার বিভিন্ন ছবি। একইসঙ্গে মাঝে মধ্যে ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে তার ‘ন্যানি’-কেও। ললিতা ডি’সিলভা। মধ্যবয়স্কা মহিলাকে মাঝেমধ্যেই দেখা গিয়েছে করিনা-পুত্রকে আগলাতে। তারকা সন্তানের ন্যানি বা পরিচর্যাকারিনী হিসাবে জনসমক্ষে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি।

তবে কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছে, ললিতা শুধু করিনা ও সইফের দুই পুত্রের দেখভাল করেননি, তাঁর পরিচর্যাতেই বড় হয়ে উঠেছে মুকেশ ও নীতা অম্বানীর সন্তানেরাও। একাধিক তারকা সন্তানকে বড় করে তোলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই ললিতাই এবার ভাগ করে নিলেন অভিভাবকত্ব নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ভাবনা। মুকেশ অম্বানী ও সইফ আলি খানের বাড়িতে কাজ করার সুবাদে, তাঁদের অনেকটাই চেনেন ললিতা। দম্পতিরা বাবা-মা হিসাবে কেমন, সেই প্রশ্নের উত্তরে ললিতা জানিয়েছেন, প্রত্যেকেই সন্তানদের অত্যন্ত ভালবাসেন এবং স্নেহশীল।

একই সঙ্গে তৈমুরের পরিচর্যাকারী ‘ন্যানি’-র পরামর্শ, কোনও অভিভাবক বিশ্বের কাছে যত বড় মানুষই হোন না কেন, তাঁদের মনে রাখা দরকার, সমস্ত কিছুর আগে তাঁরা বাবা-মা। সন্তানই তাঁদের কাছে যেন অগ্রাধিকার পায়।

শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর ছোট ছেলে অনন্তের বিয়ে হয়েছে সম্প্রতি। সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসে ললিতার একটি পোস্ট। ললিতা সমাজমাধ্যমে অনন্তের সঙ্গে ডিজ়নি ওয়ার্ল্ডের একটি ছবি দিয়েছিলেন। তখন অনন্ত ছোট, ললিতারও বয়স অনেক কম ছিল। লিখেছিলেন, ‘‘প্যারিসের ডিজ়নি ওয়ার্ল্ডে অনন্তের সঙ্গে আমি। সেই সময় থেকেই আমি শিশুদের দেখাশোনা করার কাজ শুরু করেছিলাম। ছোটবেলায় অনন্ত খুব ভাল ছেলে ছিল।’’

ধনকুবের পরিবারের সন্তান, যাঁরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে, তাদের বড় হওয়া কেমন, তা নিয়ে বহু মানুষেরই কৌতূহল। ধনী ও তারকা পরিবারের সন্তানদের কি শাসন করা হয়, না কি চাইলেই হাতে টাকা পায় তারা, এ নিয়েও হাজার প্রশ্ন জনমানসে।

একটি অনুষ্ঠানে এমন কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন ললিতা। জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, শিশুদের হাতে কি টাকা, মোবাইল তুলে দেওয়া উচিত? তৈমুর ও অনন্তের পরিচর্যাকারীর উত্তর ছিল, পড়াশোনা সংক্রান্ত বা শিক্ষামূলক খেলার জন্য টাকা দেওয়া ভুল কিছু নয়। তবে যে সমস্ত বাড়িতে সন্তান পালনের দায়িত্ব সামলেছেন, প্রতিটি বাড়িতে অভিভাবকেরা বলে দিয়েছিলেন সন্তানের সামনে টিভি দেখা বা মোবাইল দেখা যাবে না। তবে ললিতা মনে করেন, বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেক বেশি পরিণত।

সন্তান পালনে ললিতার পরামর্শ, পারিবারিক শিক্ষা, প্রথা, সংস্কৃতি সন্তানকে শেখানো জরুরি। তবে এর অর্থ এই নয়, পারিবারিক শিক্ষা-প্রথা মানে কট্টর ধর্মীয় অনুশাসনে তাদের শিক্ষিত করতে হবে। অভিভাবকেরা সন্তানদের সঙ্গে কথা বলে, খেলা করে সময় কাটালে, তারা ভাল ভাবে বড় হবে। সন্তানের মনে কোনও খারাপ লাগা, ভয়, চিন্তা থাকলে তা-ও অভিভাবককেই দূর করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE