মিলিন্দ সোমন-অঙ্কিতা কোনওয়ার (বাস্তবের দম্পতি)। অমিতাভ বচ্চন-জিয়া খান (পর্দার প্রেমিক-প্রেমিকা)। ছবি: সংগৃহীত।
দশ বছরের বড় সইফ আলি খানের প্রেমে পড়েছিলেন করিনা কপূর। সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। বয়সে প্রায় দ্বিগুণ মিলিন্দ সোমনকে বিয়ে করেছেন অঙ্কিতা কোনওয়ার। রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্টের মধ্যেও বয়সের ব্যবধান প্রায় দশ বছর। অল্পবয়সি মেয়েরা বয়সে অনেক বড় পুরুষদের প্রেমে পড়েছেন, এমন উদাহরণ কিন্তু অতীতেও ছিল। ১৬ বছরের বড় রাজেশ খন্নাকে বিয়ে করেছিলেন ডিম্পল কপাডিয়া, ২৩ বছরের বড় দিলীপকুমারকে বিয়ে করেছিলেন সায়রা বানুও। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর মধ্যেও বয়সের ফারাক ছিল ১৩ বছর। আশপাশে তাকালে বন্ধু-আত্মীয়-সহকর্মীদের মধ্যে এমন উদাহরণ দেখা যাবে আরও অনেক। কিন্তু বয়সের তোয়াক্কা না করে কেন মেয়েরা বার বার নিজের চেয়ে অনেকটা বড় কোনও পুরুষের প্রেমে পড়েন?
প্রেমের সম্পর্ক যেমন অঙ্কে বাঁধা যায় না, তেমনই আবার সবের মধ্যেই হিসাব খুঁজতে পছন্দ করেন কেউ কেউ। প্রচলিত কিছু ধারণা তৈরি হয়েছে অসমবয়সিদের প্রেমে পড়া নিয়ে। অনেকেই সে সব কথা বলেন মশকরা করে। তবে তার মধ্যে কিছু কিছু ধারণাকে স্বীকৃতি দেন মনোবিদ বা সম্পর্ক নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত বহু সমাজতত্ত্বের শিক্ষকও।
বাবার বয়সি পুরুষের প্রেমে পড়া নিয়ে সমীক্ষা-গবেষণাও কম হয়নি দেশ-বিদেশে। সাধারণত যেমন বলা হয়, অর্থনৈতিক স্থিতির জন্যই মেয়েরা বেশি বয়সি পুরুষদের প্রেমে পড়েন, তা কিন্তু একমাত্র কারণ নয়। ‘ইভলিউশনারি সাইকোলজি’ পত্রিকায় একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আর্থিক ভাবে সবল ও স্বচ্ছল নারীরাও এমন পুরুষের প্রেমে পড়েন। তা হলে আর কী কারণ হতে পারে? বিভিন্ন দেশের গবেষকরা কয়েকটি ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন।
১) বয়সে তরুণ প্রথম প্রেমিক যদি আঘাত দিয়ে চলে যান, তবে অনেক তরুণীই অধিক বয়সের পুরুষদের দিকে ঝোঁকেন। কারণ, তাঁদের তখন মনে হয় যে, তরুণ প্রেমিকেরা ভালবাসায় অসৎ আর বয়স্ক পুরুষেরা স্থির ও নির্ভরযোগ্য। এবং বিচক্ষণও বটে।
২) বহু তরুণী মনে করেন, যৌনতা সম্পর্কে এক জন মধ্যবয়সি পুরুষ কমবয়সি তরুণের তুলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তরুণীদের নিজের চাইতে অধিক বয়সের পুরুষদের সঙ্গী রূপে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যৌনতাও একটি ব়ড় কারণ।
৩) তরুণদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে তাঁদের অনেকের মধ্যেই একটা প্রবণতা থাকে তরুণীদের স্বভাব, সাজপোশাকে বদল আনার। এই পরবর্তনগুলি অনেক তরুণীই ভাল চোখে দেখেন না। তাঁদের অনেকে মনে করেন, প্রেমিক বয়সে অনেকটা বড় হলে এত তুচ্ছ সব জিনিস নিয়ে ব্যস্ত হবেন না। ফলে তেমন সম্পর্কে স্বচ্ছন্দ হবেন তাঁরা।
৪) আর্থিক নিরাপত্তাও একটি কারণ। নিজে ঠিকঠাক রোজগার করলেও সঙ্গীও একটি বড় ভরসার জায়গা হবেন। এমন মনে করেন বহু নারী।
৫) বয়সে বড় পুরুষেরা জীবনে কী চান, সে বিষয় তাঁদের মনে স্পষ্ট ধারণা থাকে। সম্পর্কে জড়ানোর সময়ে তাঁরা সঙ্গীর কাছে ঠিক কী চাইছেন, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। এমনও মনে করেন বহু তরুণী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy