প্রবীণদের থেকে কী কী শেখাতে পারেন সন্তানকে? ছবি: ফ্রিপিক।
সন্তানকে কতটা শাসন করবেন আর কতটা প্রশ্রয় দেবেন, তা যদি বুঝে উঠতে না পারেন, তা হলে বয়স্ক অভিভাবকদের থেকেই পরামর্শ নিন। এখনকার ছোটরা বয়স অনুপাতে অনেক বেশি পরিণত। ছোট থেকেই তারা ইন্টারনেটে এমন সব জিনিস দেখছে ও শিখছে, যা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে আসক্তির জন্ম দিচ্ছে। ঠিক এই আসক্তির জায়গা থেকেই শিশুদের বার করে আনতে হিমশিম খাচ্ছেন এখনকার বাবা-মায়েরা। তাই ঠিক কী কী করলে সন্তানকে মনের মতো করে মানুষ করা যাবে, সেই উপায়ই শিখে নেওয়া যেতে পারে প্রবীণদের থেকে।
ঠাকুমা-ঠাকুরদা বা দাদু-দিদিমা যদি থাকেন, তা হলে তাঁদের কাছেই সন্তানকে বেশি সময় থাকতে দিন। এর সুবিধা দুটো। এক, বাবা-মা কাছে না থাকলেও শিশু একা বোধ করবে না। দুই, ধৈর্য ধরে, বকাবকি না করেই বাড়ির খুদে সদস্যটিকে ঠিক-ভুলের পাঠ দেবেন তাঁরা।
একসময়ে শিশু-কিশোরেরা স্কুল থেকে ফিরে ছুটত খেলার মাঠে। বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠত ফুটবল-ক্রিকেট খেলতে। এই শিশুরা নিজেদের বিচ্ছিন্ন বা নিঃসঙ্গ বোধ করারই সময় বা সুযোগ পেত না। অবসাদ তো হতই না, শরীরও থাকত নীরোগ, চনমনে। সেই পন্থাই ফের প্রয়োগ করে দেখতে পারেন এখনকার বাবা-মায়েরা।
সিলেবাসের বোঝা নয়, শিশুকে ফিরিয়ে দিতে হবে তার শৈশব। বিকালের খেলার মাঠ, সন্ধ্যায় ঠাকুমা-দাদুর কাছে গল্প শোনার অবসরও। তবেই শিশুরা মোবাইল ভুলে সহজ-স্বাভাবিকতায় বেড়ে উঠবে।
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম আর ভোরবেলা ওঠা— এই নিয়মে শিশুকে অভ্যস্ত করে তুলতে পারেন বাড়ির প্রবীণেরাই। কারণ, শিশু বড়দের দেখেই শিখবে। বাবা-মাও যদি রাতভর মোবাইল, ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকেন, তা হলে শিশুও সেই অভ্যাস রপ্ত করে ফেলবে।
আগে পরিবার বড় ছিল। সকলে একসঙ্গে বসে খাওয়ার রেওয়াজ ছিল। পরিবারের সদস্যসংখ্যা যে হেতু বেশি ছিল তাই খাবার কী ভাবে ভাগাভাগি করে নিতে হবে, তা-ও শেখানো হত। প্রবীণেরাই পারবেন শিশুদের মধ্যে এই মানসিকতা গড়ে তুলতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy