ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার মাঝে প্রতি দিন শ’খানেক ছবি পোস্ট করতে হবে। মনের মানুষটির সঙ্গে কোথায় গেলেন, কী খেলেন, কেমন ঘুরলেন, কী কিনলেন— তার সমস্ত ছবি সমাজমাধ্যমে থাকা চাই। ইদানীং এমন আপাত সুখী যুগলের ছবি সমাজমাধ্যমে প্রায়ই ঘোরাফেরা করে। তাঁদের সুখ যে তুলনায় কম সুখী যুগলদের সমস্যায় ফেলে না তা নয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যে সব যুগল এমন ধারা ছবি সারা ক্ষণ সমাজমাধ্যমে দিতে অভ্যস্ত, তাঁরা আসলে ততটা সুখী নন। তুলনায় যাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলিকে ‘ব্যক্তিগত’ রাখতে পারেন, সেই সব যুগলদের সমীকরণ নাকি সবচেয়ে ভাল।
প্রায় ৩০০ যুগলের উপর এই বিষয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। অংশগ্রহণকারীদের তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সমাজমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন তাঁরা। সেই সমস্ত তথ্য একত্রিত করেই গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাঁদের মতে, সমাজমাধ্যমে সুখী যুগলদের এমন সব ছবি দেখে নিজেদের সঙ্গে তুলনা করে ফেলা মানুষের স্বভাব। বহু যুগলের ক্ষেত্রেই তা নিরাপত্তাহীনতা এবং ঈর্ষার কারণও বটে। মনোবিদেরা বলছেন, অন্যদের আপাত সুখী এমন সব ছবি কিন্তু সম্পর্ক নষ্টের মূলে। ‘পারফেক্ট রিলেশনশিপ’ বা ‘আর্দশ সম্পর্ক’ এর কোনও সংজ্ঞা হয় না। এক এক জন মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সম্পর্কের সমীকরণ আলাদা। সেই দু’টি মানুষ এক সঙ্গে থাকলে তাঁদের সম্পর্কের সমীকরণ কেমন হবে, তা যেমন অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারেন না। ঠিক তেমনই সেই ‘আদর্শ সম্পর্ক’ এর সব সূত্র যে আপনার ক্ষেত্রেও খাটবে এমনটা ভাবার কিন্তু কোনও কারণ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy