সন্তানের রহস্য জানতে পেরে কী করলেন স্বামী? ছবি: প্রতীকী
বিবাহবার্ষিকীতে খেলাচ্ছলে করা একটি পরীক্ষায় যে এমন ফল আসবে, স্বপ্নেও ভাবেননি আমেরিকার ইউটার বাসিন্দা ডনা ও ভার্নর জনসন। ২০১৯ সালে নিজেদের বিবাহবার্ষিকীতে ১২ বছরের ছেলের পিতৃত্বের পরীক্ষা করেন দম্পতি। আর তাতেই দেখা যায়, মা ডনার সন্তানের বাবা নন ভার্নর।
দম্পতি জানিয়েছেন, জিনগত পরীক্ষার মাধ্যমে পিতৃপরিচয় নির্ণয় করার একটি সংস্থা ছাড় দিচ্ছিল কিছু দিনের জন্য। সেই সুযোগে কিছুটা খেলাচ্ছলেই নিজেদের ষোড়শ বিবাহবার্ষিকীতে ছেলের পিতৃত্ব পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সেই পরীক্ষার ফলে বলা হয়, ছেলের বাবা ‘অজানা’। ঘটনা সামনে আসতে প্রাথমিক ভাবে টানাপড়েন তৈরি হয় সম্পর্কে। কিন্তু তার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মতো অনুসন্ধান করা শুরু করেন তাঁরা। টিমের আসল বাবা কে, শুরু হয় তাঁর খোঁজ। আর তাতেই চোখ কপালে দম্পতির।
টিমের জন্ম হয় ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে। যে ফার্টিলিটি ক্লিনিকে সেই কাজ হয়, সেখানেই যোগাযোগ করেন দম্পতি। বছর খানেক ধরে খোঁজার পর জানা যায়, টিমের বাবা ডেভিন ম্যাকনেল নামের এক ব্যক্তি। গোটা গোলমালই ঘটেছে ওই চিকিৎসাকেন্দ্রের গাফিলতিতে। ডনার ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য স্বামী ভার্নরের শুক্রাণু ব্যবহার করার বদলে ‘ভুলবশত’ ডেভিনের শুক্রাণু দিয়ে দেন চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্মীরা। আর তাতেই ঘটে এই ঘটনা। ডেভিনও সন্তান লাভের আশায় সপরিবার ওই ক্লিনিকে এসেছিলেন। তাঁকে ফোন করেও ভুল স্বীকার করে ক্লিনিকটি।
তবে গোটা বিষয়টি সামনে আসার পর বরং সুখেই রয়েছে দুই পরিবার। গভীর বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে টিমের দুই বাবার মধ্যেও। মাঝেমাঝেই তাঁরা দেখা করেন। ঘুরতে যান। একসঙ্গে করেন নৈশভোজও। ভার্নর সাফ জানিয়েছেন, যে ছেলেকে ১২ বছর ধরে নিজের ছেলে বলে মানতেন, তার প্রতি অপত্য স্নেহে কোনও দিনই ঘাটতি আসবে না তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy