বিয়ে হয়ে গেলে প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখা কি ভুল? প্রতীকী ছবি।
জীবনে একাধিক বার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে। কিছু সম্পর্ক বহু বছর টিকে যেতে পারে, কিছু সম্পর্কের সময়কাল কয়েক মাসেই থেমে যায়। একটা সময় জুড়ে আর এক জন মানুষকে চেনা, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া, নিজের ভাল-খারাপ সবটুকু নিয়ে তাঁর সামনে মেলে ধরা— কিন্তু তার পরেই বিচ্ছেদ। অনেক সময়েই দীর্ঘ দিনের প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে করতে হয়। স্বামীর সঙ্গেও বেশ ভালই ভাব জমে, তবে পুরনো প্রেমিকের স্মৃতি কোথাও যেন মনের কোণায় থেকে যায়। আর সেই প্রেমিক যদি বিয়ের পরেও আপনার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতে চান, তা হলে আপনার কি আদৌ তাঁর সঙ্গে কোনও রকম সম্পর্ক রাখা উচিত?
১) বিশ্বাসই কিন্তু বিবাহিত সম্পর্কের মূল ভিত্তি। তাই স্বামীর থেকে প্রেমিকের বিষয়টি না লুকোনোই শ্রেয়। সবার আগে আপনাকে স্থির থাকতে হবে যে, পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্ব রাখা আদৌ আপনার পক্ষে সম্ভব কি না। যদি মনে কোনও রকম সন্দেহ থাকে, তা হলে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আর না এগোনোই ভাল।
২) আপনি যদি মনে করেন পুরোনো প্রেমের সম্পর্কের মায়াজাল থেকে সম্পূর্ণ রূপে বেরিয়ে এসেছেন, তা আপনার বিবাহিত সম্পর্কে কোনও রকম আঁচ ফেলবে না, তা হলে বন্ধুত্ব করাই যায়। তবে সবটা যেন আপনার বর্তমান সঙ্গীর সামনে স্পষ্ট থাকে।
৩) সম্পর্কে থাকাকালীন অনেক সময়েই দু’জনের একে অপরের প্রতি এক ধরনের অধিকারবোধ জন্মে যায়। কিন্তু বিচ্ছেদের পরে সেই একই ধরনের ঘনিষ্ঠতা থেকে যাওয়া কঠিন। তাই কিছু বিষয়ে আপনার এবং তাঁর নিজস্ব পরিধির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy