অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছেদের মধ্যে জনপ্রিয় গোল্ড ফিশ। কমলা, সাদা, সোনালি আভার মাছটি জলে ঘুরে বেড়ালে সেই দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ সময় কেটে যায়। মাছেদের সাঁতরে বেড়ানো দেখতে ভাল লাগলেও, তাদের যত্নআত্তিতে ত্রুটি হলে, অল্প দিনের মধ্যে মারা যেতে পারে শখের মাছ। অ্যাকোরিয়ামের জন্য গোল্ড ফিশ কেনার আগে জেনে নিন, কত রকমের প্রজাতি এই মাছের, কী ভাবেই বা তাদের যত্ন করা দরকার?
গোল্ড ফিশের অন্তত ২০০ রকম প্রজাতি হয়। তবে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য সাধারণত দু’ধরনের মাছ জনপ্রিয় ‘কমন’ বা সাধারণ গোল্ডফিশ এবং ‘ফ্যান্সি’ বা শৌখিন গোল্ড ফিশ। দুই ধরনের মাছের মধ্যেও আবার আকার, পাখনা, আয়তন, রঙের রকমফের হয়েছে।
কমন এবং ফ্যান্সি গোল্ডফিশের তফাত
সাধারণ গোল্ড ফিশ আয়তনে ছোট হয়। তবে তাদের রঙের বৈচিত্র চোখে পড়ার মতো। কমলা, সোনালি, সাদা, ছোপওয়ালা— বিভিন্ন রকম গোল্ড ফিশ হয়। এর মধ্যে রয়েছে কমেট গোল্ডফিশ, শুবাঙ্কিন, সারাসা।
আরও পড়ুন:
ফ্যান্সি গোল্ড ফিশ তুলনামূলক ভাবে আকারে বড়, দেখতেও বেশি সুন্দর হয়। পাখনা, আয়তন, রং, আকারের রকমফেরে এদের মধ্যেও রয়েছে বৈচিত্র। নিম্ফ, তামাসাবা, ওয়াকিন, ফ্যানটেল গোল্ড ফিশ জনপ্রিয়। এই তালিকাটি বেশ লম্বাও বটে।
গোল্ডফিশের যত্নআত্তি
জলধারণ ক্ষমতা: গোল্ড ফিশের প্রজাতি, আকারের উপর নির্ভর করে অ্যাকোরিয়ামের আকার। কোনও মাছের জন্য ২০ গ্যালন জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন অ্যাকোয়ারিয়াম যথেষ্ট। আবার এমন গোল্ড ফিশও আছে, যাদের জন্য অন্তত ৫০-১০০ গ্যালন জল প্রয়োজন হয়। তবে এই মাছ যে হেতু দ্রুত বেড়ে ওঠে, তাই একটু বড় দেখে অ্যাকোরিয়াম কেনাই ভাল।
পিএইচ মাত্রা: গোল্ড ফিশের জন্য জলের পিএইচ মাত্রা থাকা দরকার ৭-৮.৪। সে কারণে কয়েক দিন অন্তর জল পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার। জলে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখাও খুব জরুরি। ‘এয়ার পাম্প’ ব্যবহার করে জলে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখা যায়।
ফিল্টার: গোল্ড ফিশ রাখতে হলে জল ফিল্টার করাও প্রয়োজন। খাবারের কণা, মাছেদের বর্জ্য জলের বাস্ততন্ত্র ও পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। সে কারণেই অ্যাকোরিয়ামের জল ফিল্টার করা খুব জরুরি।
জলের তাপমাত্রা: ১৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা গোল্ড ফিশের জন্য ভাল। তবে সেটি কিছুটা নির্ভর করে মাছের প্রজাতির উপরে। বেশি ঠান্ডা জলে মাছের সক্রিয়তা কমে যায়। খুব ঠান্ডার জায়গায় না থাকলে জলের জন্য হিটারের দরকার পড়ে না।
খাবার: প্রাপ্তবয়স্ক গোল্ড ফিশকে দিনে এক বার খাওয়ালেই চলে। তবে বেড়ে ওঠার সময় মাছকে দিনে একাধিক বার খাওয়ানো যেতে পারে।