প্রতীকী ছবি।
ভাস্কর এবং অদিতির সম্পর্কের বয়স বছর পাঁচেক। কলেজ থেকে প্রেম। কলেজে দু’জনের জুটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। বন্ধুবান্ধবরা ওদের প্রেমকে সিনেমার মতো বলত। বেশ ভালই চলছিল এত দিন। কয়েক মাস যাবৎ অদিতির মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেছে ভাস্কর। তার মনে হচ্ছে, অদিতি ক্রমশ উৎসাহ হারাচ্ছে সম্পর্কের বিষয়ে। অদিতির সঙ্গে এ বিষেয় কথা বলেও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছে না সে। কারণ, অদিতি নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। তবে কিছু লক্ষণ সে খেয়াল করেছে। যেগুলি তার মনে এমন ধারণার জন্ম দিচ্ছে।
সময় বিশেষে সম্পর্কের সমীকরণ বদলাতে থাকে। কিন্তু পরিবর্তন যদি অপর দিকের মানুষের মনে ভাঙনের ইঙ্গিত দেয়, তা হলে সেই বদলগুলি একটু আলাদা করে ভেবে দেখা জরুরি।
মানসিক দূরত্ব তৈরি হওয়া
মানসিক ভাবে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকার অন্য নামই প্রেম। সঙ্গী যদি সেখান থেকে দূরে চলে যেতে থাকে, তা হলে সম্পর্ক নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা জরুরি। সঙ্গী আদৌ সম্পর্কে থাকতে চান কি না, সে দিকটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
সঙ্গীর প্রতি আবেগ
সঙ্গী কি আপনাকে নিয়ে আগের মতো আবেগপ্রবণ নন? কথায় কথায় অভিমান করতেন যে মানুষটি, ইদানীং কি প্রতিটি বিষয় খুব হালকা ভাবে নিচ্ছেন? নিয়ম করে খোঁজ নেওয়ার অভ্যাস থেকেও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছেন? এমন হলে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। তিনি আদৌ আর সম্পর্কে থাকতে চাইছেন কি না, জিজ্ঞাসা করুন।
কথায় কথায় ঝগড়া
সম্পর্কে ঝগড়া-খুনসুটি হবে না, তা কী করে হয়! কিন্তু সেই ঝগড়ার রেশ সম্পর্ক না পড়াই বাঞ্ছনীয়। সাম্প্রতিক কালে সঙ্গী কি একটু বেশি মাথাগরম করছেন? মানে ধরুন মজার ছলে কোনও কথা বললেও সেটা নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে? হতে পারে সঙ্গী সম্পর্কটি নিয়ে উৎসাহ হারাচ্ছেন। আবার তা না-ও হতে পারে। তাই নিজের মধ্যে কোনও অস্থিরতা চেপে না রেখে খোলাখুলি কথা বলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy