গোলমেলে সহকর্মীকে জব্দ করার উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর পরিশ্রম করছেন। সঠিক সময়ে লক্ষ্যও পূরণ করছেন। বসের শত বকুনিতেও আপনার পরিশ্রমে কোনও খামতি নেই। কিন্তু তার পরেও দেখছেন, আপনার কাজের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিচ্ছেন আপনারই সহকর্মী। পরিশ্রম আপনি করছেন, কিন্তু বাহবা কুড়োচ্ছেন তিনিই। বসের চোখের মণিও হয়ে উঠছেন। আর আপনি মাথাগরম করে, মেজাজ হারিয়ে কর্মক্ষেত্রে হুলস্থুল বাধিয়ে ফেলছেন।
মনে রাখবেন, অফিস কাজের জায়গা। আপনার কোনও সহকর্মীর সঙ্গে আপনার সমস্যা হতেই পারে, কিন্তু তা যেন কর্মক্ষেত্রের শান্তি নষ্ট না করে। অহেতুক ঝগড়া, মনোমালিন্য কাজের পরিবেশই কেবল নষ্ট করবে না, ধীরে ধীরে আপনিও হাস্যস্পদ হয়ে উঠবেন। কোনও সহকর্মী যদি গোপনে ঈর্ষা করেন, আপনার কাজের স্বীকৃতি বার বার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁকে জব্দ করার উপায় আছে। সহবত বজায় রেখে, নিজের সম্মান রেখেও আপনি যোগ্য জবাব দিতে পারবেন। জেনে নিন কী ভাবে।
১) নিজের সমস্ত কাজকর্মের রেকর্ড রাখুন। কী কী কাজ করছেন, কোন কোন কাজ শেষ করেছেন তা সম্পূর্ণ নথিভুক্ত করে রাখুন। তা হলে কেউ অন্যায় দাবি করার চেষ্টা করলে আপনার কাছেও অকাট্য প্রমাণ থাকবে। সম্ভব হলে, আপনার দৈনন্দিন কাজ বা বিশেষ কোনও কাজের নথি বসকে ইমেল করে রাখুন আগেভাগেই।
২) কর্মক্ষেত্রে নিজের পরিকল্পনা কখনওই কারও সঙ্গে আলোচনা করবেন না। কাজের ব্যাপারে আপনি কী ভাবছেন, কোন পথে এগোচ্ছেন, আপনার ভাবনা নিজের মধ্যেই রাখুন। ঝটপট সেই কাজ শেষ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে রাখুন।
৩) আপনারই কোনও কাজ গোপনে জেনে নিয়ে যদি সহকর্মী আপনার পরিশ্রমের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়ে যান, তা হলে যতই মাথাগরম হোক না কেন, প্রথমেই মেজাজ হারাবেন না। আবেগের বশে সহকর্মীর সঙ্গে বাড়তি কথা কাটাকাটিতে যাবেন না। তা হলে আপনার সম্মানই নষ্ট হবে। আর সমস্যার সমাধানও হবে না।
৪) প্রথমে সৌজন্যবোধ বজায় রেখে তাঁকে জিজ্ঞেস করুন, যে কী কারণে তিনি আপনার নাম উল্লেখ করেননি বা এমন কাজ করেছেন। কোনও রকম ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা মিটিয়ে ফেলার সুযোগ নিন। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে অংশ নেবেন না।
৫) সহকর্মী নিজের ভুল স্বীকার করতে না চাইলে আপনি বসের সঙ্গে কথা বলুন। সেই কাজের ভাবনা বা পরিকল্পনা যে সম্পূর্ণ আপনারই ছিল, তা বোঝান। নিজের কাজ নিয়ে কোনও নথি থাকলে তা বসকে দেখান। অথবা সেই কাজ নিয়ে আপনার যত রকম ভাবনা ছিল তা বলুন। কত রকম ভাবে সেই কাজটি করা যায়, তার যুক্তিযু্ক্ত ব্যাখ্যা দিন। আপনার মেধার পরিচয়ও দিন। তা হলে হয়তো তাঁর কাছেও পরিষ্কার হবে যে, কাজটি আসলে আপনারই ছিল।
৬) সহকর্মী এর পরেও যদি আপনাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেন, তা হলে, দ্বিধা না করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার সমস্যা প্রমাণ-সহ তাঁদের জানিয়ে রাখুন। এতে পরবর্তী কালে জটিলতা কম হবে।
৭) সহকর্মী যদি আপনার থেকে বড় পদমর্যাদার হন, তা হলেও রেয়াত করা ঠিক হবে না। কৌশল অবলম্বন করুন। এমন সহকর্মীর সামনে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন। যাতে সহজে আপনার সঙ্গে কোনও বিতর্ক বা অকারণ ঝঞ্ঝাটে তিনি না জড়াতে পারেন। উপেক্ষা করা শুরু করুন। ভবিষ্যতে তাঁর সঙ্গে কাজ সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে আলোচনা করার আগে ভাবনাচিন্তা করে এগোবেন।
৮) নিজের পরিকল্পনা যেমন জানাবেন না, তেমনই একসঙ্গে কোনও কাজের দায়িত্ব থাকলে, কে কোন দায়িত্ব নেবেন তা আগেই ঠিক করে ফেলুন। বসের কাছে সেই কাজের খুঁটিনাটি জানিয়ে রাখবেন। কে কতটুকু করছেন, কার কী দায়িত্ব, তার তালিকা বানিয়ে বসকে পাঠিয়ে রাখুন। গোড়া থেকেই নিজেদের মধ্যে কাজ ভাগাভাগি করে নিলে ভবিষ্যতে সমস্যা এড়ানো সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy