ছবি : সংগৃহীত।
এক সাক্ষাৎকারে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি তাঁর পোষ্যপ্রেম নিয়ে বলেছিলেন, ‘‘দিনের শেষে ওদের কাছে ফিরতে আমার ভাল লাগে। কারণ আমি মাঠে রান পাই বা না পাই, ওরা আমার জন্য একই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকে, ওদের ভালবাসা বা আনুগত্যে কোনও ফারাক থাকে না।’’ বছরখানেক আগে নিজের জন্মদিন পালন করতেও রাঁচির বাড়িতে নিজের পোষ্যদের কাছে চলে গিয়েছিলেন ধোনি। সবুজ লনে ‘বার্থডে বয়’ ধোনিকে ঘিরে দাঁড়িয়েছিল তাঁর চার ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ (দু’টি হাস্কি, একটি বেলজিয়ান ম্যালিনয় আর একটি ডাচ শেফার্ড)। তাদের সঙ্গে কেক কাটা এবং তাদেরকে কেক খাওয়ানোর ভিডিয়ো দিয়ে ধোনি লিখেছিলেন, ‘‘জন্মদিনে যা যা করলাম।’’ মোট কথা, ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং আইপিএল দল চেন্নাই সুপারকিংসের খেলোয়ার ধোনির সারমেয়প্রেম সর্বজনবিদিত। কিন্তু ক্রিকেটার যে সময় পেলে নিজের হাতে পোষ্যদের যত্নআত্তিও করেন, তা দেখা গেল একটি ভিডিয়োয়।
ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ধোনির কন্যা জিভা সিংহ ধোনির নামে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি গোল্ডেন রিট্রিভারকে। ধোনি তার পাশে বসে চিরুনি দিয়ে অতি যত্নে পোষ্যের লোম আঁচড়ে দিচ্ছেন । পাশে বসে বাবার কাজ দেখছে কন্যা জিভা। তবে এক সময়ে সে-ও কাজে নেমে পড়ে। চিরুনি দিয়ে পোষ্যের ‘গ্রুমিং’-এর কাজে লেগে পড়ে সে। যদিও পোষ্যটি জিভার হাত থেকে তার চিরুনিটি কেড়ে নেয়। ভিডিয়োয় স্পষ্ট, ধোনি এবং তাঁর কন্যার নিয়মিত পোষ্যদের গ্রুমিং করার অভ্যাস রয়েছে। পোষ্যদের চিকিৎসকেরা বলছেন পাষ্যদের নিয়মিত ‘গ্রুম’ বা পরিচর্যা করা জরুরিও। তাতে এক দিকে যেমন প্রভু এবং পোষ্যের মধ্যে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়, তেমনই পোষ্যের ত্বকের সমস্যা, সংক্রমণ এবং স্বাস্থ্যজনিত সমস্যাও নজরে রাখা যায়।
পোষ্যদের জন্য বিশেষ ক্লিনিক চালান গৌরব আজমেরা। তিনি বলছেন, ‘‘পোষ্যদের সুস্বাস্থ্যের জন্য তাদের শারীরিক পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি। তবে সব পোষ্যের পরিচ্ছন্নতার রুটিন এক হবে না। পোষ্যের শারীরিক আকার-আকৃতি বুঝে এবং পোষ্য কোন প্রজাতির, তা মাথায় রেখে বুঝতে হবে তাদের প্রয়োজন ঠিক কী। সেই অনুযায়ী ঠিক করতে হবে গ্রুমিং-এর রুটিন।’’ খানিক ব্যাখ্যা করেই আজমেরা বুঝিয়েছেন, গোল্ডেন রিট্রিভারের মতো যে সমস্ত কুকুরের লোম বেশি এবং দৈর্ঘ্যেও খানিক লম্বা, তাদের নিয়মিত লোম আঁচড়ানো দরকার। কিন্তু যে সমস্ত প্রজাতির কুকুরের লোম ছোট, তাদের রোজ লোম না আঁচড়ালেও চলে।
পোষ্যের গ্রুমিং আসলে কী?
পোষ্যের সার্বিক ভাবে পরিচর্যাই হল গ্রুমিং। তার লোম আঁচড়ে দেওয়া, ত্বক, থাবা, নখ পরিষ্কার রাখা— সবই গ্রুমিংয়ের অঙ্গ।
যাঁদের পোষ্য রয়েছে, তাঁরা যত্ন নেবেন কী ভাবে?
আজমেরা বলছেন, বাড়িতে যদি, কুকুর বা বিড়ালের মতো লোমশ পোষ্য থাকে, তবে তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখা জরুরি।
১। জিনিসপত্র: হেয়ারব্রাশ, পোষ্যদের উপযুক্ত শ্যাম্পু, নেলকাটার, কান পরিষ্কার করার সলিউশন এবং পোষ্যদের উপযুক্ত টুথপেস্ট এবং দাঁতের ব্রাশ কিনুন।
২। নিয়মিত লোম আঁচড়ানো: লোমে যাতে জট না পড়ে বা পোকামাকড় না ধরে সে জন্য নিয়মিত লোম আঁচড়ানো জরুরি।
৩। স্নান: ঈষদুষ্ণ জলে পোষ্যদের উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে ভাল ভাবে স্নান করান। তাতে ত্বক আর লোমের পরিচ্ছন্নতা, দুই-ই বজায় থাকবে।
৪। নখ এবং কানের যত্ন: প্রতি তিন-চার সপ্তাহ অন্তর নখ ছোট করে কেটে দিন। পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে, পোষ্যের প্রয়োজন বুঝে এক সপ্তাহ অন্তর কান পরিষ্কার করান।
৫। দাঁত মাজা: রোজ পোষ্যের দাঁত মাজিয়ে দিন। তাতে তাদের মাড়ি ভাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy