বকাবকি ছাড়াই দুই সন্তানের মধ্যে ঝগড়া মেটাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
মা-বাবার পরেই যে মানুষটির সঙ্গে সবচেয়ে কাছের সম্পর্ক হয়, সে হল দাদা-দিদি কিংবা ভাই-বোন। বাবা-মায়ের কাছ থেকে কিছু লুকোনোর প্রয়োজন হলেও সহায় হয় তারাই।
কিন্তু কোনও সম্পর্কই এক সরলরেখায় চলে না। ওঠানামা লেগেই থাকে। তাই সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে প্রিয় মানুষের প্রতিও মনে তৈরি হতে পারে ঈর্ষা। মনে মনে এই অনুভূতি তৈরি হলেও, ছোট বয়সে তা নিয়ে সচেতনতা তৈরি হয় না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে জমতে থাকা নানা প্রশ্ন, কৌতূহল, ক্ষোভ। আর এই সব কারণেই ক্রমশ বিগড়ে যেতে শুরু করে সম্পর্কের সমীকরণ। হয়তো নিজেদের অজান্তেই দুই ভাই বা দুই বোন হয়ে ওঠে একে অপরের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী।
পরিণত বয়সে গিয়ে এই মনোভাবই সুস্থ সম্পর্কের পথে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়াতে পারে। তাই অভিভাবকদের দুই কিংবা একাধিক সন্তান থাকলে, তারা ছোট থাকতে থাকতেই সতর্ক থাকা জরুরি। সন্তানদের মনে যেন ভাই-বোনের প্রতি ঈর্ষাভাব না জন্মায়, সে দায়িত্ব নিতে হবে বাবা-মায়েদেরই।
কী ভাবে এমন পরিস্থিতির সামাল দেবেন বাবা-মায়েরা?
১) বড় সন্তান যখন তার ভাই অথবা বোনের জন্য কিছু করবে, আপনি তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ছোট জনও সেটা মনে রেখে সেটাই করবে।
২) ছোট সন্তানের ক্ষেত্রেও বার বার বড় জনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা ঠিক কাজ নয়। বড় জন কিছু করেনি বলে ছোট জন সেই কাজ করতে পারবে না— এমনটা ধরে নেবেন না কখনই। দুই সন্তানকেই তাদের মনের মতো কাজ করার জন্য উৎসাহ দিতে হবে।
৩) দু’জনের মধ্যে কোনও এক জনের প্রতি বেশি নজর দেবেন না। দু’জনের প্রতিই আপনার আচরণ যেন সমান থাকে। বকাবকি হোক কিংবা ভালবাসা, দু’জনকেই সমান চোখে দেখুন।
৪) ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে তার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বাবা-মাও যদি দুই সন্তানের মধ্যে ভাগ হয়ে যান, সেটা কাম্য নয়। ছোটখাটো ঝগড়া তাদের নিজেদের মতো করে মিটিয়ে নিতে দিন। বড় সমস্যা হলে দু’পক্ষের কথা মন দিয়ে শুনুন।
৫) দু’জনের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিন। কাজটি শেষ করতে কোনও সাহায্য করবেন না। বরং সুযোগ করে দিন, যাতে একে অপরের সাহায্য নিয়ে কাজটি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy