সন্তানকে বোঝান অভাব কী। ছবি: ফাইল
শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই শেখে। তারা অনুকরণপ্রিয়। আপনি যদি সন্তানকে কিছু শেখাতে চান, তবে নিজের ব্যবহার সম্বন্ধেও সচেতন হতে হবে।
মুখ ফুটে চাইলেই, সঙ্গে-সঙ্গে সব পাওয়া যায়, এমন ধারণা যেন আপনার সন্তানের না হয়। প্রয়োজন আর বিলাসিতার পার্থক্য সন্তানকে বোঝানো প্রয়োজন। সন্তানকে বোঝান যে, জামা ছোট হয়ে গেলে, সেটা কেনা প্রয়োজন। কিন্তু, ঘরে খাবার মজুত থাকা সত্ত্বেও বাইরে থেকে খাবার কিনে আনা বিলাসিতা। সন্তান যেন বিলাসদ্রব্যে অভ্যস্ত না হয়ে পড়ে। ছোটবেলা থেকে বিলাসিতার নেতিবাচক দিকগুলো বোঝানোর চেষ্টা করুন।
সন্তানকে টাকা জমানোর জন্য মাটির ভাঁড় বা পিগি ব্যাঙ্ক কিনে দিন। টাকা জমাতে নানা ভাবে উৎসাহ দিন। তার পর ব্যাঙ্কে তার একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলে দিন। উৎসাহ দিন যে, এ ভাবে টাকা জমালে সে নিজেই নিজের শখ পূরণ করতে পারবে।
সন্তানকে অভাব সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে।
দুঃসময়ের প্রস্তুতি: জীবন সব সময় একই রকম ভাবে না-ও চলতে পারে। বাবা-মায়ের কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া, হঠাৎ করে চাকরি হারিয়ে ফেলা, এ সব তো নিত্য ঘটছে। তখন যাতে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনে সন্তান অতিরিক্ত সমস্যায় যাতে না পড়ে, সে দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
বাস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা: অভাব জীবনের একটি অংশ। আপনার সন্তান যদি ছোটবেলা থেকেই অভাবের ধারণা পায়, তা হলে বড় হয়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হলেও সে সহজে মানিয়ে নিতে পারবে।
কৃতজ্ঞতাবোধ: যখন আপনার সন্তান অভাবের গুরুত্ব বুঝতে পারবে, তখন সে জীবনে যা কিছু পেয়েছে, তার জন্য কৃতজ্ঞ হতেও শিখবে।
পরিশ্রমের গুরুত্ব উপলব্ধি: আপনার সন্তান বুঝতে শিখবে, চাইলেই সব কিছু পাওয়া যায় না। কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা জীবনে সব কিছু উপার্জন করতে হয়।
সন্তানকে অভাব সম্পর্কে শেখাবেন কী ভাবে:
১) আপনার নিজের জীবনের নানা ওঠাপড়ার অভিজ্ঞতা সন্তানের সঙ্গে ভাগ করে নিন।
২) অভাবী মানুষদের জীবন সমন্ধে তাদের একটা ধারণা দিন। সন্তানকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে, মানুষ নানা ধরনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতে জীবনধারণ করে।
৩) সরল জীবনযাপন করুন। অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল জিনিসপত্র কেনার পরিবর্তে সন্তানকে সরল জীবনযাপন করতে শেখান।
৪) যা কিছু আছে, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শেখান সন্তানকে।
মনে রাখবেন:
· সন্তানের বয়স ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আপনার শেখানোর পদ্ধতির সামঞ্জস্য বজায় রাখুন। অতিরিক্ত কঠোর হয়ে উঠবেন না।
· জীবনের অতিরিক্ত নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সন্তানকে ভীত করে তুলবেন না।
· অভাব কাটিয়ে উঠে সফল হওয়ার অনুপ্রেরণামূলক গল্পও তাকে শোনান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy