প্রথম দেখাতেই অন্য পক্ষের মন জয়ের চেষ্টায় কী কী করতে পারেন? —প্রতীকী ছবি।
রাত জেগে ফোনে বার্তালাপ, এ যেন মনে ভাল লাগার চোরাস্রোত। অন্য মানুষটির খেয়াল রাখার মানসিকতা, ভাবনাচিন্তার গভীরতা কোথাও কি মনে ছাপ ফেলেছে? মিষ্টভাষি মানুষটির সঙ্গে প্রথম দেখা নিয়ে তাই উত্তেজনাও কম নয়! যদি আঁচ করে থাকেন, অন্য মানুষটি কম কথা বলেন কিংবা একটু বেশি সংবেদনশীল, তা হলে প্রথম সাক্ষাতে কী করবেন? আপনিও কি কম কথা বলবেন? কী ভাবে তাঁর মন জয় করবেন?
সাবলীল ভাবেই কথা বলুন
অন্য মানুষটি যেমনই হোক, আপনি নিজেও আপনারই মতো। তাই নিজে যা, সে ভাবেই অন্যের সামনে মেলে ধরুন। সততার কোনও বিকল্প হয় না। তবে এটাও ঠিক, প্রথম দেখার উত্তেজনায় অন্য মানুষটির মন আকর্ষণে অতিরিক্ত কথা বলে ফেলাটা ঠিক না হতে পারে। বরং যে বিষয় নিয়ে কথোপকথন হোক না কেন, তাতে যেন যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার ছাপ থাকে।
কথা শোনা
ফোনে অনেক কথা হলেও দেখা প্রথম বার। প্রথম দেখায় দু’জনে দু’জনকে চিনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাই অন্য পক্ষের কথাও শুনতে হবে। যদি সেই মানুষটি কম কথার মানুষ হন, তবুও তাঁকে বলতে দিতে হবে। কথার মধ্যে কথা বলাটা সুঅভ্যাস নয়। বরং ভাল স্রোতা হলে অন্য পক্ষকে যেমন বুঝতে সুবিধা হবে, অন্য মানুষটিও বুঝবেন তাঁর কথা কেউ মন দিয়ে শুনছেন।
চমক
চমক কে না পছন্দ করে! এ ক্ষেত্রে কোনও উপহার হতে পারে। যেমন ফুল, চকোলেট, ঘর সাজানোর জিনিস। তেমনই রান্না করে সেই মানুষটিকে খাওয়ানো যায়, কিংবা যদি ছন্দ মেলানোর অভ্যাস থাকে, তাঁর জন্য একটা ছড়া কিংবা কবিতা, সবটাই বেশ অর্থবহ হতে পারে। অবশ্য তা নির্ভর করবে বার্তালাপে দু’জনের মধ্যে কতটা ভাল লাগা তৈরি হয়েছে তার উপর।
ভাবনার সম্মান
দু’টি মানুষের সমস্ত ভাবনা মিলবে, এমনটা আশা করাও ঠিক নয়। কিন্তু ভাবনা-চিন্তা না মিললে অন্য মানুষটিকে ভুল বলে চিহ্নিত করা, তর্ক জুড়ে দেওয়াও ঠিক নয়। প্রথম সাক্ষাতের পর দ্বিতীয় সাক্ষাৎ হবে কি না, পরের বিষয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কোনও বিষয় নিয়ে চরম তর্ক জুড়ে দেওয়া প্রথম দিনের জন্য ঠিক নাও হতে পারে। বরং অন্যের ভাবনা ঠিক মনে না হলে, কেন তা মনে হচ্ছে যুক্তি ও বুদ্ধি দিয়ে তার কারণ বলা যেতে পারে।
সাক্ষাতে কী করণীয়
ডেটিং মানেই কোনও ক্যাফেতে গিয়ে বসতেই হবে, তেমনটা নয়। দু’জনের যদি ভাল লাগার বিষয় মিলে যায়, তা হলে সেখান থেকেও সাক্ষাৎ শুরু হতে পারে। সেটা ছবি দেখা হতে পারে, নাটক দেখা কিংবা কোনও খোলা জায়গায় হাঁটা, রাস্তার ধারে বসে চা-খাওয়াও হতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করবে দু’জনের সম্মতির উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy