সম্পর্ক ভাঙার সময়ে কিছু কথা মনে রাখুন ছবি: সংগৃহীত
ভালবাসা পাওয়া যেমন সহজ নয়, তেমনিই সহজ নয় সম্পর্কের ভাঙনও। অথচ কিছু ক্ষেত্রে একসঙ্গে থেকে পরস্পরকে আহত করার তুলনায় ভিন্ন থাকাই শ্রেয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙলে নারী পুরুষ নির্বিশেষে সামলে ওঠা হয়ে ওঠে খুবই শক্ত। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি আবশ্যিক পদ্ধতি মেনে চললে অনেকটাই সহজ হতে পারে এই সময়টি।
১। কথপোকথন: সম্পর্ক ভাঙার সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যোগাযোগের পথ রুদ্ধ হয়। ঝগড়া-ঝামেলা করতে করতে এত দিনের ভালবাসার মানুষটি কখন অচেনা হয়ে যান, তা বুঝে ওঠা যায় না। তবুও যদি আলাদা হতেই হয়, তবে তা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হওয়াই ভাল। যদি একসঙ্গে না থাকতে চান তবে লুকোছাপা না করে স্পষ্ট করে বলুন সঙ্গীকে।
২। সামাজিকতা: সম্পর্ক ভাঙলে নিজেকে গুটিয়ে নেন অনেকেই। বন্ধু কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও অর্থহীন মনে হতে পারে। কিন্তু সম্পর্ক ভাঙার প্রথম কয়েক দিন এই সামাজিকতা অজান্তেই সাহায্য করতে পারে। দীর্ঘদিন একটি সম্পর্কে থাকলে সঙ্গীর উপর অজান্তেই এক ধরনের নির্ভরতা তৈরি হয়। এক দিনে সেই বিষয়টি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব। তাই সম্পর্ক ভাঙার প্রাথমিক অভিঘাতের সময়ে একা একা না থাকাই ভাল। প্রাথমিক অভিঘাত থেকে নিজেকে সামলাতে পারলে, কিছু দিন পর নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া সহজ হবে অনেকটাই।
৩। জিনিসপত্র ভাগাভাগি: যাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে থাকেন, তাঁরা অনেক সময়ে নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের জন্য হরেক রকমের সামগ্রী কেনেন। কেউ কেউ রাখেন পোষ্যও। সম্পর্ক ভাঙার পর আলাদা থাকতে হলে কে কোন জিনিস নিজের কাছে রাখতে চান, তা আগে থেকে বেছে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নয় তো জিনিসপত্র নিয়ে নতুন করে বিবাদ লাগতে পারে।
৪। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নয়: বিচ্ছেদের অভিঘাতে জীবনকে অর্থহীন মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মনে রাখবেন, জীবনের অর্থ খুঁজে বার করার সঠিক সময় এটি নয়। বিশেষ করে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভাঙলে কেউ কেউ বিয়ে, নতুন সম্পর্ক বা অস্থায়ী যৌনতার দিকে ঝোঁকেন। এতে কিন্তু লাভের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি। পাশাপাশি, এই সময়ে ভুলেও কোনও পেশাগত সিদ্ধান্ত নেবেন না।
৫। পিছুটান নয়: সম্পর্ক ভাঙলে নিজে কেমন রয়েছেন, তার থেকে প্রাক্তন কেমন রয়েছেন তার প্রতি বেশি আগ্রহ দেখান অনেকে। এটি মস্ত বড় ভুল। পাশাপাশি, নেটমাধ্যমে প্রাক্তনের দৈনন্দিনে নজরদারি করাও চলবে না একেবারেই। আত্মনিয়ন্ত্রণ কঠিন মনে হলে, শরণাপন্ন হন ‘ব্লক’-এর। এমনকি, ভবিষ্যতে স্বাভাবিক কথাবার্তা বজায় রাখতে চাইলেও এই বিরতিটুকু আবশ্যিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy