পাত্র বা পাত্রীর নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকলে বিয়ের পর বোঝাপড়ায় যে সুবিধা হয়।
বৈশাখ মাস পড়তে না পড়তেই বিয়ের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ বিয়ে করছেন দীর্ঘ দিনের বান্ধবীকে আবার কেউ পরিবারের পছন্দ করা পাত্রীকেই স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পাত্র বা পাত্রীর নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব থাকলে বিয়ের পর বোঝাপড়ায় যে সুবিধা হয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে দেখাশোনা করে বিয়ে হলেই যে সেই বোঝাপড়ায় খামতি থাকবে, এমনটাও নয়। তবে অনেক সময় ভুল বোঝার সম্ভাবনা বেশি হয় এই ক্ষেত্রে। অভিজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যা দু’পক্ষেরই হতে পারে। কারণ, সঙ্গীর কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা। তবে বিয়ের পর মেয়েরা যে হেতু নতুন একটি পরিবারে থাকতে শুরু করেন, তাই তাঁদের কাছে খুব বেশি প্রত্যাশা না করাই ভাল।
কোন কোন বিষয়ে সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা রাখবেন না?
১) নতুন পরিবারের সকলকে ভালবাসা
স্বামী হিসেবে প্রত্যাশা করা অন্যায় নয়। তবে নিজের পরিবার ছেড়ে আসা মেয়েটির কাছে তাঁর স্বামীর পরিবারেই সকলেই যে আপন হয়ে উঠবেন, এমনটা আশা করা ঠিক নয়। স্বামীর পরিবারের সকলেই তাঁর নিজের মানুষ হয়ে উঠতে পারেন, তবে তার জন্য একটু সময় প্রয়োজন।
২) নিজের পরিবার ছেড়ে তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া
অনেকেই মনে করেন, বিয়ের পর প্রতিটি মেয়ের কাছে তার স্বামী আগে। এমনটা আশা না করলেই ভাল। এত দিন মা-বাবার সঙ্গে থাকা মেয়েটি হঠাৎ করে সব ছেড়ে শুধুমাত্র আপনাকেই গুরুত্ব দেবেন, এমনটা না-ও হতে পারে। আপনার প্রতি আপনার স্ত্রীর সেই বিশ্বাস, ভরসা তৈরি হতে যেটুকু সময় প্রয়োজন, তা দিতে হবে।
৩) আপনার ব্যাপারে আগে থেকেই সব জেনে যাবেন
আপনার ভাল লাগা, মন্দ লাগা, রুচি-পছন্দ সব কিছু আগে থেকেই বুঝে যাবেন, এমনটা আশা না করাই ভাল। যথেষ্ট সময় একসঙ্গে না কাটালে দুটো মানুষের পছন্দ-অপছন্দগুলি বোঝা পরস্পরের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজেদের বুঝতে, জানতে তাই বিয়ের পর বেশ কিছু সময় কাটানো উচিত।
৪) আপনি যেমনটা বলবেন, স্ত্রী তেমনটাই করবেন
বিয়ে করে আপনার বাড়িতে আপনার স্ত্রী থাকতে শুরু করলেন, মানেই তিনি আপনার কথা ছাড়া এক পা-ও নড়তে পারবেন না, এমনটা কিন্তু নয়। এমন প্রত্যাশা রাখলে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার আগেই তা তিক্ত হয়ে যাবে। আপনার কথা শোনার মতো ভরসাযোগ্য মানুষ হয়ে উঠতে পারলে, নিশ্চয়ই শুনবেন।
৫) নিজের পেশাগত জীবনে আপনাকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া
চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, নতুন কোনও চাকরিতে যোগ দেওয়া বা ছাড়া— এই সব বিষয়ে আপনার মতামত গুরুত্বপূর্ণ বলে স্ত্রীর পেশাগত জীবনে অনধিকার প্রবেশ করতে যাবেন না। এতে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। ভাল-মন্দ সব বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্ত্রীকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy