কোর্টে মামলা চলাকালীন যে খোরপোশ দেওয়া হয়, তাকে অন্তর্বর্তী খোরপোশ বলে। প্রতীকী ছবি।
বিবাহবিচ্ছেদ মানে শুধু সম্পর্কে দাঁড়ি পড়া নয়। সম্পত্তির ভাগাভাগিও। ফলে বহু মেয়ের ক্ষেত্রেই বিবাহবিচ্ছেদ মানে অনিশ্চয়তার প্রশ্ন। পুরুষতান্ত্রিকতার নিগড়ে আবদ্ধ মেয়েদের অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল। তাই বিবাহবিচ্ছেদের পরে কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে উদ্বেগে চোখের পাতা এক করতে পারেন না মহিলা।
বিভিন্ন ধর্মের ক্ষেত্রে বিবাহের আইন আলাদা। তাই খোরপোশের বিষয়টিও আলাদা আলাদা। তবে আইনের জটিল ভাষায় না গিয়ে সরল ভাবে দেখলে মোটামুটি ভাবে খোরপোশ দু’রকম। অন্তর্বর্তী খোরপোশ ও স্থায়ী খোরপোশ। সহজ ভাবে বললে কোর্টে মামলা চলাকালীন যে খোরপোশ দেওয়া হয়, তাকে অন্তর্বর্তী খোরপোশ বলে। আর মামলা শেষ হলে, বা বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হলে যে টাকা দেওয়া হয়, তাকে স্থায়ী খোরপোশ বলে। স্থায়ী খোরপোশ কখনও এককালীন ভাবে দেওয়া হয়, কখনও দেওয়া হয় কিস্তির ভিত্তিতে। কী ভাবে এই টাকা দেওয়া হবে, তা স্থির করে আদালত।
কত টাকা পাওয়া যায়?
এই বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া নেই। ১৯৫৫ সালের ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, স্বামী ও স্ত্রী উভয়ই এই টাকা দাবি করতে পারেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্ত্রী-ই খোরপোশ পান। তবে স্বামী বিশেষ ভাবে সক্ষম হলে কিংবা আয় করতে অসমর্থ হলে, তিনিও খোরপোশ পেতে পারেন। সাধারণ ভাবে স্বামীর আয়ের এক তৃতীয়াংশ বা এক পঞ্চমাংশ টাকা পান স্ত্রী। মাসিক কিস্তির ক্ষেত্রে স্বামীর বেতনের এক চতুর্থাংশ পর্যন্ত টাকা খোরপোশ হিসাবে পেতে পারেন স্ত্রী।
সন্তানের খরচ
খোরপোশের মধ্যে সন্তানের খরচ ধরা থাকে না। সন্তানের খরচ আলাদা ভাবে দিতে হবে বাবাকে। স্ত্রী যদি আবার বিবাহ করেন, সে ক্ষেত্রে খোরপোশ দিতে হয় না। কিন্তু সন্তানের খরচ তখনও দিতে হয় বাবাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy