সাত-পাঁচ না ভেবেই আমরা ধীরে ধীরে মুগ্ধতার জালে ধরা দিই। ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ের পর কি প্রেমে পড়া বারণ? এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারও চোখের চাতুরি, হাঁটাচলা, ব্যক্তিত্ব— কোনটা যে মনকে ভিজিয়ে দেবে, কেউ আগে থেকে বলতে পারবে না। অফিসে এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। তৈরি হতেই পারে নতুন কোনও ‘বন্ধুত্ব’।
সাত-পাঁচ না ভেবেই আমরা ধীরে ধীরে মুগ্ধতার জালে ধরা দিই। মগ্ন দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দেখি। কখনও কখনও অজান্তেই করে ফেলি কিছু বাড়াবাড়ি। অনেক সময়ে টনক নড়ে বিপদ ঘটে যাওয়ার পর।
দিনের বেশির ভাগ সময়টাই আমাদের অফিসে কাটে। এই দীর্ঘ সময়ে কোনও মানুষের প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে সব সম্পর্কের পরিণতির বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকাও জরুরি। দাম্পত্য জীবনে এই নতুন বন্ধুত্বের আঁচ না পড়ে, তার জন্য কী করা যায় ভাবছেন?
১) স্বচ্ছতা না থাকলে কোনও কিছু করাই কঠিন। কাজেই আপনার সঙ্গীর সম্পর্কে নতুন বন্ধুকে আগেভাগেই জানিয়ে রাখুন। দরকারে আপনাদের বন্ধুত্বের কথাও আগাম জানান বাড়িতে। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দিন। বাড়িতে আড্ডা দিতে ডাকুন তাঁকে। তা হলে আর সম্পর্কের স্বচ্ছতা নিয়ে দুর্ভাবনা থাকবে না।
২) প্রথমেই জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখুন। দাম্পত্যে যে ঘাটতিগুলি শূন্যতা তৈরি করে, তাকে মিটিয়ে ফেলাই শ্রেয়। সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক যত সহজ হবে, তত অন্য বন্ধুত্ব নিয়ে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও পরিবারের জন্য সময় বার করুন। প্রয়োজনে ছুটি নিন। পরিবারের আগে অফিসের মুগ্ধ বন্ধুত্বকে এগিয়ে রাখবেন না কখনওই।
৩) নিজের মুগ্ধতার জায়গাটা কী এবং কোথায় তার সীমানা, সেটা নিজে পরিষ্কার বুঝুন। অফিসে কাজের ক্ষেত্রেও যেন আপনার একতরফা আকর্ষণ ব্যাঘাত না ঘটায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকুন। এমন কোনও কাজ কখনওই করবেন না, যার জন্য আপনাকে কর্মক্ষেত্রে হাসির পাত্র হতে হয়। অফিসে এই ধরনের ভাল সম্পর্ক তৈরি হওয়া খারাপ নয়। তবে প্রত্যাশার লাগামটা যেন আপনার হাতেই থাকে। না হলে মাশুল গুনতে হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy