প্রতীকী ছবি।
যাঁরা অন্তর্মুখী হন, তাঁরা অনেক সময়েই নিজের পরিধির বাইরে যাওয়ার ভরসা পান না। কোনও ভাবে সেই পরিধির বাইরে বেরোতে হলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উদ্বেগগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। অন্তর্মুখী হওয়া কোনও রকম অসুস্থতা নয়। একবিংশ শতাব্দীর প্রচণ্ড গতিতে চলা এই পৃথিবীতে বহু মানুষ নিজেদের অন্তর্মুখী বলে বর্ণনা করেন, শুধুমাত্র সহজে নিজের সব কথা সকলের সামনে বলতে পারেন না বলে।
সকলে একই রকম ভাবে বাকিদের সামনে নিজেকে অনায়াসে মেলে ধরতে পারেন না। অনেকের ক্ষেত্রে সেই মেলে ধরার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়, একটা ভরসার জায়গার প্রয়োজন। কিন্তু যখন সেই ভরসার জায়গাটা কারও সঙ্গে গড়ে ওঠে, তখনকার সেই অনায়াসে মেলে ধরার মুহূর্তগুলি যে কত সুন্দর হতে পারে, সেটা হয়তো ওই দু’জন মানুষ ছাড়া কারও পক্ষে বোঝা অসম্ভব।
কিন্তু নতুন কারও সঙ্গে দেখা করা অনেক সময়েই একজন অন্তর্মুখীর জন্য কঠিন হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি অন্তর্মুখী বলে নতুন কারও সঙ্গে দেখা করবেন না বা প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হবে না।
সব সময় খুঁত খুঁত করবেন না
এটা কোনও অভিনয় বা পরীক্ষায় বসা নয় যে, আপনাকে সব কিছু একদম নিঁখুত ভাবে করতে হবে। বাড়তি চেষ্টা করলে সেটা অনেক সময়ে আপনার মানসিক স্বস্তির উপরেই চাপ ফেলতে পারে, এবং আপনার গোটা অভিজ্ঞতাটাই হয়তো খারাপ হয়ে যেতে পারে। প্রথম বার কারও সঙ্গে দেখা করলে কথোপকথনের মধ্যে আড়ষ্টতা থাকে স্বাভাবিক। সেটাকে যতটা সম্ভব গ্রহণ করে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
চুপ করে থাকা মানেই চিন্তার বিষয় নয়
জোর করে কথোপকথন এগিয়ে নিয়ে চলা অনেক সময়েই ক্লান্তিকর হতে পারে। ওই কিছু ক্ষণের চুপ থাকার মুহূর্তগুলো প্রথম বারের দেখায় হতেই পারে। তার মানেই এই নয় যে, সামনের মানুষটি কথা বলতে চান না। চুপ থাকার মানে এ-ও নয় যে আপনাদের মধ্যে কথা ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই সেই চিন্তাগুলি যতটা পারেন দূরে রাখুন।
প্রথম সাক্ষাতে সাজপোশাক নিয়ে খুব একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন না
আপনার জন্য পরিধির বাইরে বেরোনোটাই একটা বড় ব্যাপার। নিজের পোশাকের ক্ষেত্রে এমন কিছু বাছুন যেটা আপনি যেটা পরতে আপনি স্বচ্ছন্দ। প্রথম বারেই অনেকগুলি নতুন পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করলে অনেক সময়েই আপনি বাড়তি চিন্তার সম্মুখীন হতে পারেন।
মনোবিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন
অনেক সময়েই এটা বোঝা যায় না যে একজন অন্তর্মুখী নাকি সামাজিক সাক্ষাতের ক্ষেত্রে সে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। এই জন্য একজন মনোবিদের সঙ্গে দেখা করলে খুবই সাহায্য হতে পারে।
সব কিছু সিনেমার মতো আশা না করাই ভাল
দু’জনের দেখা হল, একজন তথাকথিত সংজ্ঞা অনুযায়ী বহির্মুখী, আরেকজন অন্তর্মুখী। আর সিনেমা চলতে চলতে এক সময়ে দু’জনেই একই ভাবে একে অপরের সামনে নিজেদের সবটুকু মেলে ধরতে পারলেন— এই সবটাই প্রেমের ছবিতে দেখতে খুব ভাল লাগতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এ রকম সব সময়ে আশা না করাই শ্রেয়। এত সহজে, এত সরল ভাবে বছরের পর বছর ধরে একজন যে পরিধিগুলি মেনে এসেছে নিজের চার পাশে, সেগুলি অন্য কেউ এসে ভেঙে দিতে পারেন না। তাঁর জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন, সময়ের প্রয়োজন। তবেই সেই সম্পর্কটা আরও গাঢ় হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy