প্রতীকী ছবি।
প্রেমের সম্পর্কে থাকাকালীন অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর অনেক দোষ-ত্রুটি বা সমস্যাজনক ব্যবহার মেনে নিতে হয়। সম্পর্কের খাতিরে এমন অনেক আপত্তিজনক লক্ষণ নজর এড়িয়েও যায়। মাঝে মাঝে দেখেও না দেখার ভান করতে হয় সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু আদতে সঙ্কটের সময়গুলিতে চুপ করে থাকলে কি সম্পর্কের সুস্থতা বজায় থাকছে? সঙ্গীর এই রকম সমস্যাজনক ব্যবহার আপনার আত্মমর্যাদার হানি ঘটাতে পারে। যার জেরে মানসিক সমস্যা, এমনকি অবসাদের শিকার হলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
অনেক সময়ে, কিছু কিছু বিশেষ ব্যবহারে বা কাজে বোঝা যায় আপনার সম্পর্কটি সমস্যাজনক হয়ে উঠেছে কী না। এই লক্ষণগুলি থাকলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সেই রকম পাঁচটি লক্ষণ এখানে দেওয়া রইল।
নিয়ন্ত্রণ করা
যদি কখনও মনে হয় যে, আপনার সঙ্গী আপনার জীবনের বড় অংশকে নিয়ন্ত্রণ করছেন বা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন, নিঃসন্দেহে আপনাকে আপনার সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে হবে। কোনও সুন্দর সম্পর্ক ব্যক্তিত্বকে বিকশিত হতে সাহায্য করে, তাকে বেঁধে রাখে না। যদি সেই জায়গা আপনি আপনার সঙ্গীর তরফ থেকে না পান, তা হলে আপনার বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া
শুধুমাত্র এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে আছেন বলে বাকি বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের থেকে দূরে সরে যাওয়া কখনওই কাম্য নয়। আপনার সঙ্গী আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন, কিন্তু কখনওই আপনার গোটা জীবন ওই একটি মাত্র মানুষকে কেন্দ্র করে ঘুরতে পারে না।
অসম্মানিত হওয়া
কোনও কারণেই সম্পর্কের মধ্যে অসম্মান যেন না আসে। যে কোনও সম্পর্কে টানাপড়েন থাকে। কিন্তু আপনার সম্পর্ক যখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, তখন আপনাদের দু'জনের মধ্যে পারস্পরিক অসম্মান দেখা দিলে তা নিঃসন্দেহে সমস্যার লক্ষণ।
সততার অভাব
মিথ্যে কথা বলা এক জনের বিশ্বাস ভঙ্গ করতে পারে। বিশ্বাসের অভাবে সম্পর্কের টিকে থাকা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি এবং আপনার সঙ্গী একে অপরের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে সৎ না হতে পারেন, তা হলে সেই সম্পর্কে সমস্যার প্রবণতা বেড়ে যায়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
সম্পর্কে আবদ্ধ মানুষ দু'জন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত সমস্যাজনক। আপনার সাফল্যে আপনার সঙ্গী আনন্দিত হবেন, এটা আশা করাই স্বাভাবিক। যদি সেই সাফল্য কোনও ভাবে ঈর্ষার কারণ হয়, তা হলে সেই মানুষটি আপনার জন্য আদৌ উপযুক্ত কি না, সেই বিষয়ে বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy