বিয়ের আগে কেন যাবেন স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে? ছবি: শাটারস্টক।
বিয়ের আগে থাকে অনেক রকম প্রস্তুতি। শাড়ি কেনা থেকে খাওয়াদাওয়ার আায়োজন, বিয়েবাড়ি ভাড়া থেকে অতিথিদের জন্য থাকার ঘরের ব্যবস্থা করা— বিয়ের তারিখ ঠিক হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় হাজার রকম তোড়জোড়। বিয়েতে কী ভাবে সাজবেন, কী রঙের পোশাক পরবেন, কার কাছে সাজবেন, কী ভাবে ছবি তুলবেন— এই সব বিষয় নিয়ে মেয়েরা অনেক আগে থেকে ভাবনাচিন্তা শুরু করলেও এড়িয়ে যান খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। বিয়ের আগে অন্তত এক বার স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে যাওয়া খুব জরুরি। অথচ সেই কাজটাই করেন না অনেকে। নতুন সম্পর্কে যাওয়ার আগে শরীরের কিছু পরীক্ষা করানো জরুরি। জেনে নিন, ঠিক কী কী কারণে বিয়ের আগে মহিলাদের স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে যেতে বলা হয়।
১) ঋতুচক্রের ধরন বোঝা: অনেক মহিলার ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। তাই মাসের কোন সময়ে তাঁদের ওভিউলেশন (ডিম্বস্ফোটন) হচ্ছে, সে সম্পর্কেও কোনও ধারণা থাকে না। বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বা হতে চাইলে কিংবা সন্তানধারণ না করতে চাইলে ডিম্বস্ফোটনের সময় সম্পর্কে ধারণা থাকা ভীষণ জরুরি। স্ত্রীরোগ চিকিৎসক এ বিষয়ে মহিলাদের সাহায্য করতে পারেন।
২) ঋতুস্রাব এগিয়ে আনতে কিংবা পিছোতে: হিন্দুরীতি অনুযায়ী ঋতুস্রাব চলাকালীন মেয়েরা কোনও শুভ কাজে অংশ নিতে পারেন না। সেই নিয়ম মেনে বিয়ের সময়ে ঋতুস্রাবের তারিখ থাকলে অনেকেই তা এগিয়ে আনতে কিংবা পিছোতে চান। অনেকে আবার মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার সময়ে ঋতুস্রাব এড়িয়ে চলতে চান। এই সময়ে সমাজমাধ্যম দেখে যে কোনও ওষুধ না খেয়ে স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
৩) শারীরিক পরীক্ষা: অল্পবয়সি মেয়েদের বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা, শ্রোণিদেশের পরীক্ষা এবং একটি প্যাপ স্মিয়ার করনো জরুরি। এই সব পরীক্ষার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া, জিনগত কোনও রোগ, যৌনরোগ আছে কি না, তা ধরা পড়বে। অনেকে পিসিওডির সমস্যায় ভোগেন, স্ত্রীরোগ চিকিৎসকের কাছে গেলে সেটাও ধরা পড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy