‘সূত্র’ বুটিক, ডিজাইনার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজাইনার রাতুল দত্তের শাড়ি (বাঁ দিক থেকে)।
বছর শুরুর দিনটায় নতুন শাড়ি ছাড়া ভাল লাগে না। তবে এ তো পুজোর শাড়ি নয়। পয়লা বৈশাখের সাজ হতে হয় দিনটির সঙ্গে মানানসই। কেমন হবে সেই শাড়ি? চোখে পড়বে, কিন্তু জমকাল হবে না। বৈশাখী আমেজ থাকবে তাতে। আবার হতে হবে কিছুটা আধুনিক। চিরাচরিত সুতির শাড়ি যতই পছন্দের হোক, নতুন চমকও চায় আধুনিকার মন।
তবে কি লাল পেড়ে সাদা শাড়ি আর চলে না? ঠিক তেমনটাও যে নয়। তবে সেকেলে চওড়া পাড়, জড়ির ছোঁয়ায় সব সময়ে মন মজে না। সাদা-লাল পাড়েও তো থাকতে পারে একালের ছোঁয়া। হাল ফ্যাশনের ইঙ্গিতের যে চায় মন। তা হলে চলবে কি জামদানি? মন বলবে আভিজাত্য বজায় রেখে তাতে থাকবে ডিজাইনার ছোঁয়া। এত দাবি মেটাবে কে? এমন শাড়ি কি আদৌ পাওয়া যাবে গোটা শহর ঘুরে?
সুতির শাড়িতে নয়া চমক আনার প্রয়াস চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। নতুন মোড়কে কখনও আসছে চিরাচরিত তাঁত-জামদানি। কখনও লিনেন-খাদির জমিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক্কেবারে অচেনা কোনও ছাপা। নতুন বছরের প্রথম দিনটায় কেমন শাড়ি বেছে নেওয়া যায় নিজের জন্য?
হাতে করা ছাপা থেকে সাবেক স্বাদের বেগমপুরি শাড়ি, আজকের ললনাদের মন কাড়ছে রকমারি ডিজাইন। নতুন বছর উদ্যাপনে আর কেমন জিনিস টানতে পারে তাঁদের নজর? এ শহরের জনপ্রিয় বুটিক ‘অরণ্য’ও রকমারি শাড়ি তৈরি করেছে বৈশাখের পার্বণী সাজের কথা মাথায় রেখে। খাদির উপরে নানা মেজাজের ব্লক প্রিন্ট এ বার রয়েছে সেখানে। আছে জামদানিতেও নতুনত্বের ছোঁয়া।
লিনেন শাড়ি ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে অনেকের। তার উপরেই নিজস্ব শিল্পবোধের ছোঁয়া রেখেছে ‘সূত্র’ বুটিক। এ গ্রীষ্মে তাদের নতুন বিশেষ কাজ হল লিনেনের উপরে ইক্কত। আর এক বুটিক ‘মেঘবালিকা’-এ রয়েছে বেগমপুরী থেকে কটন লিনেন, গরমে আরামদায়ক নানা শাড়ির সম্ভার। নানা রঙের খাদি শাড়ি, তার উপরে কটকির কাজ এ বার সেখানে বিশেষ সংযোজন।
কাঁথা কাজের সঙ্গে বাঙালিয়ানা জরিয়ে রয়েছে। সনাতনি কাঁথার শাড়ি ছাড়াও এখন অন্য ধাঁচের শাড়িও পাওয়া যায় নানা বুটিকে। হাল্কা কারুকাজ করা শাড়ি পয়লা বৈশাখে পরতেই পারেন। গরমে সাধারণত হাল্কা রং পরতে সকলে পছন্দ করে। তবে উৎবের দিনের জন্য মানানসই উজ্জ্বল রং। হলুদ, হাল্কা কমলা, বাদামি, মরচে-কমলার মতো রঙের কাঁথার সিল্ক শাড়ি চলতেই পারে।
এখন ব্লক প্রিন্টেও অনেক বৈচিত্র এসেছে। শহরের ডিজাইনার সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব নকশায় ব্লক তৈরি করার আলাদা ব্যবস্থা করে নিয়েছেন। তাই তাঁর বুটিকে মিলবে নানা রকম নকশা। বসন্তের পলাশ, বোগেনভিলিয়ার মতো ফুলের ব্লক প্রিন্ট করা শাড়ি কিনে দেখতে পারেন। সিল্কই শুধু নয়, এমন প্রিন্ট রয়েছে সুতি বা মলমলের উপরেও। নেটমাধ্যমেই যোগোযোগ করে আনিয়ে নিতে পারবেন।
সনাতনি ঢাকাই জামদানির বদলে যদি একটু আধুনিক ধাঁচের শাড়ি পরতে চান, তা হলে চলে যান ইনস্টাগ্রামে। নিত্য জীবনে যে কোনও দিনে যাতে পরা যায়, তা মাথায় রেখে ছিমছাম জামদানি শাড়ি বানিয়েছেন ডিজাইনার রাতুল দত্ত। তাঁর নতুন শাড়িগুলির রং সাদা আর ইন্ডিগো। গরমকালের জন্য আদর্শ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy