প্রতীকী ছবি।
পরিবর্তনের নিয়মেই বদলাচ্ছে ঋতু। বিদায়ী শীত আর আসন্ন বসন্তের মাঝখানের এই গোলমেলে সময়টায় দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে পরজীবীদের। তারা অতি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে ওঠায় ঘরে ঘরে হাঁচি, কাশি, সর্দিজ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এর সঙ্গেই গোদের উপরে বিষফোড়ার মতো তীব্র হচ্ছে বায়ুদূষণ। সব মিলিয়ে বসন্তের আগমনি বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই শরীর নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন অনেকে। এখানে মারাত্মক কোনও প্রভাব না-থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে করোনাভাইরাস নিয়েও চলছে জোরদার জল্পনা।
ঋতু বদলের সময় তাপমাত্রার হেরফেরের জেরে পরজীবীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ভাইরাসবাহিত রোগব্যাধিও বাড়ে। এরই মধ্যে বুধবার হাওয়া অফিস বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি এবং কাল, শুক্রবার কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহবিদেরা জানান। আর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই সময়ের বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপের আশঙ্কা আরও বাড়বে।
ভাইরাস বা বৃষ্টি যদি কাবু না-ও করে, দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে বায়ুদূষণ। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হাওয়ায় দূষণের মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল। বায়ুদূষণ সূচক ৩০০-র বেশি হলেই তাকে অস্বাস্থ্যকর বা অতি খারাপ বলা হয়। মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতার বালিগঞ্জ, ময়দান এলাকায় একটানা ওই সূচক ছিল ৩০০-র উপরে। মঙ্গলবার রাতে হাওড়াতেও সেটা ৩০০-র উপরে উঠে যায়। বুধবার ভোরে শিলিগুড়িতে বায়ুদূষণের সূচক উঠেছিল ৩৬২-তে। পরিবেশবিদেরা জানাচ্ছেন, দূষণ-সূচক ৩০০-র কম থাকলেও তা শিশু, বৃদ্ধ এবং রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গের বহু শহরেই দূষণের সূচক বেশির ভাগ সময়েই যথেষ্ট বেশি থাকছে।
পরিবেশবিদদের অনেকের মতে, এই সময়ে পরিবেশ শুকনো বলে ধুলোর পরিমাণ বেশি থাকে। সেটাই বাতাসে মেশে। অনেক সময়েই দেখা যায়, বৃষ্টি হলে দূষণের মাত্রা কমে গিয়েছে। কারণ, হাওয়ায় ভেসে থাকা ধুলো তো বটেই, অন্যান্য দূষণকণাও বৃষ্টির জলে ধুয়ে যায়। সেই সঙ্গে পথঘাট ভেজা থাকায় ধুলো উড়তে পারে না। বৃহস্পতি-শুক্রবার বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতা কমলেই তা শুকিয়ে যেতে পারে। তখন ফের ধুলো!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy