বহির্বিভাগে তালা।—নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহে ছ’দিন খোলা থাকার কথা স্ত্রী রোগের বহির্বিভাগ। চিকিৎসকের অভাবে বহির্বিভাগ অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। তবে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিভাগে নতুন চিকিৎসক আসার পরেও বহির্বিভাগে অচলাবস্থা কাটেনি। প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা।
গত দু’মাস হাসপাতালের তিন জন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের মধ্যে এক জন ছুটিতে থাকায় অন্তর্বিভাগের সঙ্গে বহির্বিভাগেও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। বাধ্য হয়ে অন্যত্র রেফারও করা হচ্ছিল প্রসূতিদের। ছ’দিনের বদলে মাত্র দু’দিন খোলা থাকছিল স্ত্রী রোগের বহির্বিভাগ। এরপর আরও এক জন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ছুটি নেওয়ায় জটিলতা দেখা দেয়। রোগীদের অভিযোগ, দিন পনেরো পুরো বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ। সম্প্রতি হাসপাতালে দু’জন নতুন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পেয়েছেন। এ ছাড়াও ছুটিতে থাকা এক চিকিৎসকও কাজে যোগ দিয়েছেন। তারপরেও হাসপাতালে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় উঠছে প্রশ্ন। কাউন্টারে এসে টিকিট কেটে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমার দশটি ব্লকের মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন গড়ে ১৫০-২০০ জন রোগী স্ত্রী রোগের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসেন। প্রথমে চিকিৎসক না থাকায় ছ’দিনের বদলে সপ্তাহে চার দিন বহির্বিভাগ খোলা থাকত। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্ত্রী রোগ বিভাগে চার জন চিকিৎসক রয়েছেন। সোমবারও হাসপাতালে আসা রোগী সুনীতা কুমারী বলেন, “হাসপাতালে স্ত্রী রোগের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্যই এসেছিলাম। কিন্তু কাউন্টারে টিকিট কাটতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই চলে যাচ্ছি।” দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে হাসপাতালে সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “চিকিৎসকরা ছুটি নেওয়ায় সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সপ্তাহে দু’দিন খোলা হচ্ছিল স্ত্রীরোগের বহির্বিভাগ। এখন চার জন চিকিৎসক পেলেও চার দিনের বেশি বহির্বিভাগ চালানো সম্ভব নয়।” আজ, বুধবার থেকে বহির্বিভাগ খোলার কথা জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy