মাতৃদুগ্ধ ছাড়ানোর সময়ে কী খাওয়াবেন? ছবি: সংগৃহীত
একটা সময়ের পর বাচ্চা যদি কেবলই মাতৃদুগ্ধ পান করতে থাকে, তাহলে সে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না। তাই বাচ্চার ৬-১২ মাস বয়সের মধ্যেই বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ পান করার অভ্যেস থেকে সরিয়ে একটু একটু করে পুষ্টিকর ও শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করতে হবে। এই সব খাবার থেকেই বাচ্চা শরীর ও স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পাবে। তাই সময় থাকতেই বাচ্চার মাতৃদুগ্ধ পান করানোর অভ্যেস ছাড়িয়ে এগুলো খাওয়ানো শুরু করুন।
ভাতের মাড়
বাচ্চা যাতে সারা দিন পর্যাপ্ত পানীয় খায়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। ভাত ফোটানোর সময় পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ যে উপাদান জলে মেশে, সেটাই ভাতের মাড়। এটি শিশুর শরীরে শক্তি জোগাবে। ভাত এমনিতেই ‘লো অ্যালার্জেন’ খাবার। তাই বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ ছাড়াতে হলে প্রথমে এটাই খাওয়ান।
চটকানো ফল
বাচ্চাকে শক্ত খাবার খাওয়াতে শুরু করার ক্ষেত্রে ফল দিয়ে শুরু করাই সবচেয়ে ভাল। এতে রয়েছে বাচ্চার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ফল খেতে মিষ্টি হওয়ায় বাচ্চারা খেতেও ভালবাসে। বাচ্চাকে প্রথম আপেল খাওয়াতে পারেন। আপেলের খোসা ছাড়িয়ে ভাল করে চটকে নিয়ে কয়েক টেবিল চামচ বাচ্চাকে খাওয়ান।
সব্জির পিউরি বা সিদ্ধ সব্জি
সব্জি এমন একটা খাবার, যা বাচ্চাকে মাতৃদুগ্ধ ছাড়ানোর সময় থেকে খাওয়ানো শুরু করা উচিত। আলু বা গাজর কিংবা অন্যান্য সব্জি ভাল করে চটকে নিয়ে সব্জির পিউরি তৈরি করতে পারেন। এছাড়া গাজর, বরবটি, লাউ, কুমড়ো এগুলো ভাল করে সিদ্ধ করে নিয়ে চটকে বাচ্চাকে খাওয়ান।
ওটস পরিজ
বাচ্চাকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করার সময় ওট মিল বা ওটস পরিজ বানিয়ে খাওয়াতে পারে। এটি প্রচুর পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এটাতে বাচ্চার হজমের সমস্যাও হয় না। এর সঙ্গে ফল ও সব্জি মিশিয়ে খাওয়ালেও বাচ্চার ভাল লাগবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy