কোন কোন সব্জি বেশি খাওয়া উচিত নয়? ছবি: সংগৃহীত
পুজোর সময়ে একটু বেশি উল্টোপাল্টা খাওয়া সকলেরই হয়ে যায়। তাই উৎসবের দিনগুলি শেষ হতেই বাঙালি ফের স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে ওঠার প্রয়াস শুরু করে। পুজোর পাঁচ দিনে যে কয়েক কেজি ওজন বেড়েছে, তা ঝরিয়ে ফেলার জন্য ফের খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন অনেকে। তাই কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন-ভিটামিন বেশি রাখেন রোজকার খাবারে।
তাই ভাত-রুটি কমিয়ে শাক-সব্জি বেশি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু জানেন কি, সব সময়ে সব সব্জি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়াও ঠিক নয়। তাতে শরীরে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। কোন সব্জি বেশি খেয়ে ফেললে সমস্যা হতে পারে?
মাশরুম
মাশরুম সব্জি হিসাবে বেশি জনপ্রিয়। নানা রকম বিদেশি রান্নায়ও মাশরুম ব্যবহৃত হয়। রান্না করা সহজ বলে অনেক তরকারিতেই মাশরুম দেওয়া হয়। মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন ডি এবং আরও নানা পুষ্টিগুণ। কিন্তু মাশরুম খাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে, আপনার কোনও খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কি না। যাঁদের খাবারে অ্যালার্জির প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের মাশরুম খেলে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়াও মনে রাখতে হবে সব রকম মাশরুম কিন্তু খাওয়ার জন্য নয়। এমনকি, কিছু মাশরুম এতটাই বিষাক্ত যে, হাত দিলেও বিপদ!
লেবু
পাতিলেবুর গুণ নিয়ে আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয় না। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পাতিলেবু প্রত্যেক দিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। তবে লেবুর অ্যাসিডিক উপাদান বেশি শরীরে গেলেও ক্ষতি হতে পারে। দাঁতের ক্ষয় হতে পারে। অনেকে শরীরের বিপাক হার বাড়ানোর জন্য খালি পেটে গরম জলে লেবুর রস চিপে খান। কিন্তু যাঁদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খালি পেটে অ্যাসিডিক উপাদান পেটে গেলে হজমের গোলমাল হবে। মারাত্মক যন্ত্রণাও হতে পারে।
ফুলকপি
ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই কম। তাই যাঁরা কিটো ডায়েট বা লো-কার্ব ডায়েট করেন, তাঁদের ফুলকপির মতো সব্জি খুব প্রিয়। বিশেষ করে কিটো ডায়েটের ক্ষেত্রে, ফুলকপি গুঁড়িয়ে ফুলকপির ভাত তৈরি করেন অনেকেই। তবে এই সব্জিতে গুণ অনেক থাকলেও এমন একটি পদার্থ রয়েছে, যা হজম করা মুশকিল। তাই বেশি খেলেও পেটভার, অ্যাসিডিটির মতো নানা রকম পেটে সমস্যা হয়েই থাকে। ফুলকপি এমনিতে শীত কালের সব্জি। তবে এখন সারা বছর পাওয়া যায়। বর্ষা বা খুব ভ্যাপসা গরমে ফুলকপি খেলেই অনেকের সমস্যা হয়।
বিট
বিট খাওয়া শরীরের পক্ষে ভীষণ উপকারী। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁদের ডায়েটে অনেক সময়ই বিট থাকে। তবে বিট বেশি খেলেও বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রস্রাবের রং লালচে হয়ে যেতে পারে। জিভের রং সাময়িক ভাবে লাল হবেই। তবে এই রং বদল নিয়ে খুব একটা আশঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
গাজর
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা বেশি পরিমাণে শরীরে গেলে, ত্বকের রং বদলে কমলা হয়ে যেতে পারে। গাজর খাওয়া এমনিতে শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারী। ভিটামিন সি-এ ভরপুর গাজর খেলে দাঁত, চোখ ভাল থাকে। তবে গাজরও একটু পরিমাণ মেপে খাওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy