দাঁত মাজার কয়েকটি নিয়ম আছে। ছবি: সংগৃহীত
দাঁতের যত্ন না নিলে দাঁত হলদে হয়ে যাওয়া, মুখে দুর্গন্ধ হওয়া কিংবা দাঁতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁত ঠিক ভাবে না মাজলে এই ধরনের অসুবিধে হয়। তবে রোজ নিয়ম করে দাঁত মেজেও এই ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। কারণ আপনি হয়তো জানেনই না দাঁত মাজার সময় আপনি এমন ভুল করছেন, তার জন্য আপনার এই সমস্যা হচ্ছে।
ঠিক ব্রাশ না ব্যবহার করা
মাঝারি বা শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করলে দাঁত বেশি পরিষ্কার হবে এই ভেবে নিয়ে এরকম ব্রাশ কিনছেন? এই ব্রাশ দীর্ঘ দিন ব্যবহার করলে কিন্তু দাঁত মজবুত থাকবে না।
দীর্ঘ দিন ভুল মাজন ব্যবহার করা
বিজ্ঞাপনী চটকে পড়ে ভুল মাজন বাছেননি তো? আপনার দাঁতে সেনসিটিভিটির সমস্যা আছে বলে সেই ধরনের ওষুধযুক্ত মাজন নিয়মিত মাজছেন? এতে সাময়িক ভাবে সমস্যা হয়তো কমবে। কিন্তু পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে পারে না এই মাজন। বরং মাড়ির রোগ, নিশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। চিকিৎসকের কথা মেনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই মাজন ব্যবহার করা উচিত। দাঁত ভাল রাখতে ও দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে ফ্লুরোসাইড যুক্ত মাজন ব্যবহার করুন। এতে মাড়ির রোগ ও নিশ্বাসের দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।
কম সময়ে ও বারবার দাঁত মাজা
দিনে দু’বারের বেশি দাঁত মাজবেন না। অতিরিক্ত মাত্রায় দাঁত মাজলে দাঁতের এনামেল ও মাড়ি দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দাঁতের দাগ-ছোপ দূর করতে খুব বেশি চাপ দিয়ে দাঁত মাজবেন না।
ভুল ভাবে ব্রাশ করা
ব্রাশ করার সময় অনুভূমিক ভাবে ব্রাশ করবেন না, উল্লম্ব ভাবে ব্রাশ করুন। দীর্ঘ দিন ধরে অনুভূমিক ভাবে ব্রাশ করলে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির ৪৫ ডিগ্রি কোণে ব্রাশ ধরে ওপর নীচে ব্রাশ করুন। ভাল ভাবে ভিতরের দিকের দাঁতও যাতে পরিষ্কার হয়, সেই খেয়াল রাখুন। ঠিকভাবে ব্রাশ করার অভ্যেস না থাকলে, ব্যাটারি চালিত স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy